• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অবশেষে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করলো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

করোনার এমন সময়ের মধ্যেও অবশেষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চালু হলো সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। এর ফলে প্রচলিত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) যুগ শেষ হতে চলল। বিশ্বের সব উন্নত দেশেই এখন ই-পাসপোর্ট চলছে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এতে খুব কম সময়ে শেষ হবে ইমিগ্রেশনও। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে জনমনে।

দেশে পাঁচ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদের দুই ধরনের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামে শুরুতে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ই-পাসপোর্ট পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে জাহেদ আহমেদ নামে এক মুক্তিযোদ্ধার। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ সমকালকে বলেন, 'ঢাকার পর চট্টগ্রামে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে সেটির বাস্তব রূপ পেতে বেগ পেতে হয়। রোববার প্রথমবারের মতো কয়েকজনের হাতে পাসপোর্ট তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম।'
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি চার হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার ফি পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা। ১০ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি আট হাজার ৫০ টাকা। তবে জরুরি এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ফির সঙ্গে বাড়তি ফি যোগ হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্টের আবেদন কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা সম্ভব নয়। চট্টগ্রামে থাকা দুই পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে বিভাগীয় মনসুরাবাদ অফিস থেকে নগরের বন্দর ও ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজীদ, পতেঙ্গা ও হালিশহর এবং উপজেলার মধ্যে সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, রাউজান, ভূজপুর ও সন্দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আঞ্চলিক পাঁচলাইশ অফিস থেকে নগরের কোতোয়ালি, কর্ণফুলী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এবং বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার পর দ্বিতীয় কোনো জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে এই সেবা কার্যক্রম শুরু হলো। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ২০০৮ সালে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও দেশে ২০১৬ সালে এটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরের শুরুতে ঢাকায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে দেশ ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করে। 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –