• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

কুড়িগ্রামে নিজ জেলায় এসে কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিতে গিয়ে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। নিজের সেই ছবি টাইম লাইনে পোস্ট করলে নজরে পরে সবার। এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সচেতন মহলে। ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে।

জানা যায়, ছাত্র অধিকার পরিষদের নব নির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হবার পর তিনি নিজ জেলা কুড়িগ্রামে আসেন। রবিবার সকালে শহরের ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠেন তিনি। এসময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়ার ছবি ক্যামেরা বন্দি করা হয়। সেইসব ছবি নিজ ফেসবুক (বিন ইয়ামিন মোল্লা) নামীয় টাইম লাইনে পোস্ট করেলে নজরে পরে সবার। সেই ছবিতে তাকে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দেখে অবাক হয়ে যান ফলোয়াররা। একই সঙ্গে জনমনে দেখা দেয় ক্ষোভ ও হতাশা। এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।

জেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ অমার্জনীয়। দেশের প্রতি ভালবাসা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এরকমই হয়। যাদের ভিতর দেশ প্রেম নেই তারা কি ভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওইদিন সকালে বিন ইয়ামিন মোল্লা নাগেশ্বরীর নেওয়াশিতে তার নিজ এলাকায় একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় কুড়িগ্রাম ঘোষপাড়ায় আগে থেকে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এসময় জুতা পায়ে নেতা-কর্মীসহ শহীদ মিনারে উঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘বিন ইয়ামিন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু ছাত্রদের বুকের রক্তে আঁকা শহীদ মিনার কী করে পদদলিত করলেন?’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বিন ইয়ামিনসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বিন ইয়ামিনদের শহীদ মিনারের অবমাননা পরিকল্পিত। ভাষা শহীদদের এভাবে অবজ্ঞা মেনে নেয়া যায়না।’ 

একই দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান বলেন, ‘শহীদ মিনার আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও চেতনার প্রতীক। এই শহীদ মিনার অবমানননা মানে জাতিকে অপমান করা। এদেরকে চিহিৃত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ’।

অভিযোগের বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘শহীদ মিনারের বেদি বা সিঁড়িতে আমরা জুতা পায়ে উঠিনি। মুল মঞ্চে উঠেছি। ঢাকা শহীদ মিনারের মঞ্চেও অনেকে জুতা পায়ে ওঠে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –