• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

সুন্দরগঞ্জে পোকা দমনে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘আলোক ফাঁদ’ 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২১  

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদের কাছে ধানের পোকা চিহ্নিত করতে ও দমনে বেশ জনপ্রিয় ‘আলোক ফাঁদ’। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর ব্যবহার। এর কারণে ফসল নষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ঘোসপাড়া মাঠে দেখা যায়, আলোক ফাঁদ স্থাপনের চিত্র। এসময় কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনজুরুল হক রাজীব কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ওই ফাঁদে ক্ষতিকর পোকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত থেকে অধিক ফলন ঘরে তুলতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরামর্শ নিচ্ছেন কৃষি বিভাগের। সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা। পোকা মাকড়ের আক্রমণে ফসলের যেন ক্ষতি না হয়, সেই চিন্তায় দমন করা হচ্ছে ক্ষতিকর পোকা। আর পোকা নির্ণয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে আলোক ফাঁদ।

যেভাবে স্থাপন করতে হয় আলোক ফাঁদ-
সূর্যাস্তের পরই ক্ষেতের একটু দূরে শক্ত বাঁশ-কাঠ কিংবা তিনটি লোহা দিয়ে স্ট্যান্ট বানাতে হয়। সেখানে একটি পাত্রের মধ্যে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রণ করে একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর আলোর সাহায্যে ওই পাত্রে আসতে শুরু করে উপকারী ও অপকারী পোকা। এসব পোকার মধ্যে ক্ষতিকর পোকাগুলো চিহ্নিত করতে হয়। সেগুলো নিধন করতে কৃষি কর্মকর্তারা দিয়ে থাকেন ব্যবস্থাপত্র। এতে ব্যবহার করতে হচ্ছে, ক্যারাটে, ফাইটার, সুমিথিয়ন, একতারা, ছেতারা ও ভিরতাকো নামের কীটনাশক। এক লিটার পানি ও দুই মিলি ওষুধ মিশ্রণ করে সকালে অথবা বিকেলে স্প্রে করতে হয়। এভাবেই পোকা-মাকড় দমন করছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে পার্চিং পদ্ধিতিও।

ঘোসপাড়া গ্রামের কৃষক গোপীনাথ চন্দ্র বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। সেগুলো থেকে ভালো ফলন পেতে আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকাগুলো কীটনাশক ছিটিয়ে নিধন করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনজুরুল হক রাজীব জানান, যাতে করে কৃষকদের আমন ফসলের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে আলোক ফাঁদের ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে তাদের।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল কবির বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভশীল। আমরা তাদের লাভবান করতে বদ্ধপরিকর। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি রোপা আমনে অধিক ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –