• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

কাদা মাটিতে মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বপ্ন দেখছেন গাইবান্ধার চাষীরা   

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২  

গাইবান্ধায় অব্যাহত রয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। এ শীতেও গ্রামাঞ্চলে বসে নেই কেউ। শীতকে উপেক্ষা করে হাঁটু কাদায় নেমেছে কৃষক-শ্রমিকরা। এ কাদায় রোপণ শুরু করেছে ইরি ধানের চারা। এসব চারা থেকে ফসল নিয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বপ্ন দেখছেন তারা।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মাঠে দেখা যায় কৃষক-শ্রমিকের ব্যস্ততা। এ সময় জমি প্রস্তুতসহ কেউ কেউ তুলছিলেন ইরি-বোরো ধানচারা। আবার কেউ বা রোপণ কাজে কোমর বেঁধে কাদা মাটিতে নেমেছিলেন।

জানা গেছে, শস্য ভাণ্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এসবের মধ্যে তাদের প্রধান ফসল হচ্ছে ইরি-বোরো ধান। এরই মধ্যে বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে তা রোপণ করতে শুরু করেছে কৃষকরা।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে ধানচারা রোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৩ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদিত ধান থেকে প্রায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৯ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতে পারে।

কৃষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, গেল আমন মৌসুমে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর দুই একর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে এক বিঘা জমিতে রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।আরেক কৃষক এনামেল হক জানান, আবহাওয়া অনুকূল ও সার-কীটনাশকের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবার আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, চারা রোপণের কয়েক দিনের মধ্যে জমিতে পার্চিং বসানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও শেখানো হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, কৃষকরা যাতে করে ভালো ফলন পান, সে লক্ষ্যে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –