• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

তিন মাস পর শ্যালিকার লাশ গোপনে দাফনের চেষ্টা, পালালো দুলাভাই

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২২  

নীলফামারীতে অপহরণের তিন মাস পর ইতি নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় গোপনে দাফনের চেষ্টার সময় কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউপির পানিয়ালপুকুর গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যান ইতির দুলাভাই শহীদ শাহ ও তার পরিবার।

নিহত ইতি একই উপজেলার কিশোরগঞ্জ ইউপির মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত শহীদ শাহ উপজেলার পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে। তিনি জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত একটি ওষুধ কোম্পানির মাঠ প্রতিনিধি।
 
জানা যায়, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে স্মৃতির সঙ্গে শহীদ শাহর বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে থাকতেন। সৌধ নামের তাদের সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে স্মৃতি সন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে আসেন। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি শ্যালিকা ইতিকে অপহরণ করেন শহীদ শাহ। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ ওই সময় অভিযান চালিয়ে ইতিকে উদ্ধার ও অপহরণকারী শহীদ শাহকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

ছয়মাস পর জামিন পান শহীদ শাহ। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর শহীদ শাহ পুনরায় ইতিকে অপহরণ করে গা ঢাকা দেন। এ ঘটনায় ইতির বাবা কিশোরীগঞ্জ থানায় মামলা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইতিকে উদ্ধার করতে পারেনি। শহীদ শাহও অধরা থেকে যান।

এদিকে শাহরিয়ার সাগর নামের এক যুবক মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ফেসবুকে এক তরুণীর লাশের ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে লেখা ছিল—‘রংপুর মেডিকেলে একটি মেয়ের লাশ ফেলে শহীদ শাহ নামের একজন লোক পালিয়ে গেছে। মেয়েটির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়’।

ফেসবুকে ছবি দেখে লাশটি মেয়ে ইতির বলে শনাক্ত করেন বাবা সিরাজুল ইসলাম। তিনি রংপুর মেডিকেলে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে মেয়ের লাশ দেখতে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, রংপুরে মেয়ের লাশ দেখতে না পেয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ চলে আসেন। বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারেন ইতির লাশ শহীদ শাহর বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা চলছে। সেখানে তিনি পুলিশসহ গেলে বাড়ির লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যান।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –