• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রংপুরে মৃত্যুহীন দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২২  

রংপুর বিভাগজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটি করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে বাড়ছে শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে শনাক্তের হার বেড়ে ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

এ ছাড়া গতকাল (বৃহস্পতিবার) শনাক্তের হার ছিল ৪৫ শতাংশ। এ দিন বিভাগের আট জেলায় ৮৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭৮ জনের করোনা পজিটিভ আসে ও রংপুরে একজন মারা যান। বুধবার ৮০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৩৫৯ জন। 

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলার ৯৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১১৯, দিনাজপুরে ১১০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫৬, নীলফামারীর ৪৬, গাইবান্ধার ৩২, পঞ্চগড়ের ৩১, লালমনিরহাটের ২৩, কুড়িগ্রামের ২১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে পঞ্চগড়ে শনাক্তের হার ৫৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫৬ দশমিক ৫৭, দিনাজপুরে ৫২ দশমিক ৬৩, কুড়িগ্রামে ৪৭ দশমিক ৭৩, গাইবান্ধায় ৪৪ দশমিক ১১, রংপুরে ৪১ দশমিক ১৭, লালমনিরহাটে ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং  নীলফামারীতে ৪০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬২ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত গুরুত্বর ৪৭ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৬ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে। পুরো বিভাগজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ রয়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন রোগী।

পরিচালক আরও জানান, রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৫ হাজার ৬৯৩ এবং ৩৩৩ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২২৭-তে।

এ ছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬৯ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৮ হাজার ২০, নীলফামারীতে মৃত্যু ৮৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৭৩৫, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮১ ও শনাক্ত ৩ হাজার ৯৮২, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৭৩২ এবং লালমনিরহাট জেলায় মৃত্যু ৬৯ ও আক্রান্ত ২ হাজার ৮৯৪ জন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ হাজার ৩৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ জনের। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৪৭ জন।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইয়েলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা। দিন দিন করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে ভারতের কোলঘেঁষা এই বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তবে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন করতে মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে মাস্ক সরবরাহ করা অব্যাহত আছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –