• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে বাচ্চা উৎপাদন বেড়েছে   

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছয় মাসে রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে বাচ্চা উৎপাদন বেড়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০৭টি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করেছে খামারটি, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ হাজার বেশি।

এছাড়া ডিম উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০টি, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ হাজার ৪১টি বেশি। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের উপপরিচালক ডা. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ। এই খামারের অধীনে প্রয় আড়াই ‘শ মুরগী খামারী জেলার মুরগীর মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে আসছে। 
 
রংপুর জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন জানান, সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে উৎপাদিত মুরগির বাচ্চা ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে ৬৫ বছরের পুরনো খামারটির আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে  রংপুর অঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়বে বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন।

রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের সহকারী পরিচালক ডা. নাজমুল হুদা জানান, বর্তমানে মুরগি রাখার ১৯টি শেডের মধ্যে ১৩টি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকিগুলোর আধুনিকায়ন চলছে। শিগগিরই এগুলো ব্যবহারের উপযোগী হবে।করোনা পরিস্থিতির কারণে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন কমেছে। এর পরেও এই মোরগ-মুরগী থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬ ৬ হাজার ডিম আহরণ করে প্রতি ৫দিন অন্তর প্রায় ৬ হাজার মুরগীর বাচ্চা মেশিনের সাহায্যে ফোটানো হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় উৎপাদন ও চাহিদা পূরণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৬০ শতাংশ বাচ্চা এবং ৫০ শতাংশ ডিম উৎপাদন হয়েছে।তিনি জানান, খামারটির বর্তমান অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই খামারটির আধুনিকায়নের কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত,রংপুর নগরীর কলেজ রোডে ১০ একর জমির উপর ১৯৫৭ সালে স্থাপন করা হয় সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। প্রথমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খামারটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশীয় মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করা ও গ্রামীণ মুরগি পালন অব্যাহত রাখার কাজ করছে খামারটি।
সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে ফাওমি জাতের লেয়ার এবং আরআইআর জাতের মোরগের ক্রসের মাধ্যমে সোনালি মুরগি উৎপাদন করা হয়। সাড়ে ৫ মাস বয়স থেকে সোনালি মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে। একটি মুরগি ১৮০-২২০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ফেব্রয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি একদিনের বাচ্চার বিক্রয়মূল্য ১২ টাকা এবং নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি বাচ্চার বিক্রয় মূল্য ১০ টাকা। এই খামারের অধীনে প্রায় আড়াই ‘শ মুরগী খামারী জেলার মুরগীর মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে আসছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –