• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’, আবেদন শেষ হচ্ছে ৩০ মে

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডির পর্যায়ে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই ফেলোশিপ নিয়ে নির্বাচিতরা সর্বোচ্চ ১৮ মাসে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য চার বছর সময় দেয়া হবে। 

তবে সে ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী স্নাতকোত্তরে বিশ্বসেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএইচডিতে বিশ্বসেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার আনতে হবে।
 
সম্প্রতি ২০২২ সালের এই ফেলোশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)। 

যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

সোশ্যাল প্রোটেকশন
এডুকেশন
উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট
পাবলিক হেলথ
ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি
ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস
পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট
লিগ্যাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
ডিপ্লোমেসি
অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি
অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস 
সুযোগ-সুবিধা

সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
স্নাতকোত্তরের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ মাস এবং পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ মাসের জীবনধারণ ভাতা।
স্বাস্থ্যবীমা।
এককালীন সংস্থাপন ভাতা।
এককালীন শিক্ষা উপকরণ ভাতা।
তৃতীয় দেশে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ ব্যয়।
এ ছাড়া ফেলোশিপের আওতায় প্রদেয় ভাতাদির নির্ধারিত হার গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। 

আবেদনের যোগ্যতা

যারা এর আগে বিদেশে কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি সেসব বাংলাদেশি নাগরিক।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরি স্থায়ী হলে এবং চাকরিতে প্রবেশের পর সরকারি সুবিধার আওতায় কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি, শুধু তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ তারিখে আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়স পিএইচডির ক্ষেত্রে ৪৫ বছর আর মাস্টার্স কোর্সের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর হতে হবে।
পিএইচডি কোর্সের জন্য আবেদনকারীকে ন্যূনতম মাস্টার্স সম্পন্ন এবং মাস্টার্স কোর্সের জন্য আবেদনকারীকে ন্যূনতম স্নাতক সম্পন্ন হতে হবে।
কোনো আবেদনকারীর বিদেশি কোনো ডিগ্রি থাকলে ওই ডিগ্রির জন্য আবশ্যিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সমতা সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি ডিগ্রির সার্টিফিকেট মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে না।
অ্যাডমিশন অফারে ভর্তির শেষ তারিখ এ বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত টোফেল ও আইইএলটিএসের (একাডেমি) কার্যকর মেয়াদ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ আর টোফেলে ন্যূনতম ৮০ ও পিটিই একাডেমিকের ক্ষেত্রে মোট স্কোর হতে হবে ৫৯। 
আবেদনের পদ্ধতি

আবেদনকারীকে প্রথমে ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এলিজিবিলিটি টেস্টে অংশ নিতে হবে। টেস্টে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে। এই টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই আবেদনকারী ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে নিজের একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। 

এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনকারী তার আবেদন তৈরি করতে এবং জমা দিতে পারবেন। আবেদন জমা দিলে সংশোধনের সুযোগ আছে। চাইলে একাধিকবার আবেদন সংশোধন করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার পরই ই-মেইল ও মুঠোফোনে নিশ্চয়তাসূচক একটি বার্তা পাবেন আবেদনকারীরা। আবেদনের আইডি নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।

আবেদন আইডি নম্বরটি আবেদনপত্র ট্র্যাকিং ও ফেলোশিপসংক্রান্ত পরবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। অনলাইনে আবেদন জমা বা সাবমিটের পর ওই আবেদনপত্রের প্রিন্ট করে নিতে হবে। এই প্রিন্ট করা কপি আবেদনের হার্ডকপি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে আবেদনের হার্ডকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই। 

আবেদনে কোনো অসম্পূর্ণ, মিথ্যা বা যেকোনো ধরনের জালিয়াতি ফেলো নির্বাচন বা ফেলোশিপের যেকোনো পর্যায়ে জানা গেলে আবেদন বা ফেলোশিপ তাৎক্ষণিক বাতিল হয়েছে বলে গণ্য হবে।

ফেলোশিপসংক্রান্ত তথ্যের জন্য +৮৮০১৩১০৫৯৪৫১০ নম্বরে অফিস চলাকালীন (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত) যোগাযোগ করা যেতে পারে। 

আবেদনের শেষ সময়: ৩০ মে, ২০২২

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –