• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় কৃষকরা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২  

কুড়িগ্রামে সাম্প্রতিক বন্যায় ৮ হাজার ২৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জেলায় ৭ হাজার কৃষককে আমন বীজ ও সার প্রদান করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন কৃষকরা। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) অনেক স্থানে কৃষকদের রোপা আমন ধান লাগানোয় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ৮০ হাজার কৃষকের আমন বীজতলা ৩১২ হেক্টর, আউশ ২ হাজার ৫০০ হেক্টর, পাট ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর, তিল ১১৪ হেক্টর, শাক-সবজি ১ হাজার ৬০০ হেক্টর, কাউন ১৮ হেক্টর, কলা ৪০ হেক্টর, ভুট্টা ৭৫ হেক্টর, মরিচ ১৫৪ হেক্টর, আদা ১৪ হেক্টর ও ১০ হেক্টর জমির হলুদর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের শোভনদহ গ্রামের মফিজল হক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। রোপা আমন ধান চাষ করার জন্য যে বীজতলা করেছিলাম এবারের বন্যায় সেগুলো তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন বীজতলা করছি। কয়েক দিনের মধ্য রোপণ করব। আবার যদি বন্যা আসে তাহলে আমার সর্বনাশ হবে।

ওই এলাকার নিকিল চন্দ্র বলেন, ‘হামরা হইছি চাষা লোক। জমিজমা আবাদ করে সংসার চলাই। কয়দিন আগোত বানে হামার বিচন (বীজতলা) নষ্ট হইছি। যতই কষ্ট হোন না ক্যান ধার দেনা করে আবার ধান রোপণ করা লাগবে। ফের বন্যা হলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সামছুদ্দিন মিয়া বলেন, বন্যায় কুড়িগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। বিশেষ করে আমন মৌসুমে কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে আমন চাষ করতে পারেন এবং সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেন, সে অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকে সরকারের মাধ্যমে প্রণোদনার বীজ ও সার প্রদান করেছি। যা ইতোমধ্যে তারা মাঠে ফেলছেন। কেউ কেউ চারা মাঠে লাগাচ্ছেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –