• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ক্রস ড্যাম নির্মাণে উদ্ধার হবে ১০ হাজার হেক্টর জমি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২১  

সমুদ্র থেকে নতুন প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি উদ্ধার করা হবে উড়ির চর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে। এ লক্ষ্যে ৬৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরের বুক থেকে ১০ হাজার হেক্টর জমি পুনরুদ্ধারের এ উদ্যোগ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি সময় থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশে প্রতি কৃষকের আবাদি জমির পরিমান মাত্র ১.৫০  একরের মতো। পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, প্রতি বছর দেশের কৃষি জমির পরিমান কমছে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর, অর্থাৎ প্রতি বছর শতকরা এক ভাগ হিসাবে আবাদযোগ্য জমির পরিমান কমে যাছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।  

উড়ির চর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- সমুদ্র থেকে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ভূমি পুনরুদ্ধার করা, উড়ির চরের সঙ্গে নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডের স্থায়ী যোগাযোগ স্থাপন, স্থানীয় জনসাধারণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন। এছাড়া কৃষি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সর্বোপরি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) এস. এম. রেজাউল মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্লু -ইকোনোমি বা সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তার প্রথম অর্জন সমুদ্রের গভীর থেকে ১০ হাজার হেক্টর জমি উদ্ধার করা। বলা চলে বাংলাদেশের স্থলভাগে এটা অন্তর্ভূক্ত হবে। স্থায়ীভাবে সবকিছু করা যাবে এই নতুন ভূমিতে। দীর্ঘদিন স্টাডি করেই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কৃষি জমি বাড়বে।  

মেঘনা নদীর মোহনায় নদী ভাঙন ও ভূমি পুনরুদ্ধার ক্রমান্বয়ে চলমান একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। মেঘনা নদীর মোহনায় বর্তমানে প্রতি বছর প্রাকৃতিকভাবে প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার চর জেগে উঠছে। ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৬৪ সালে মেঘনার মোহনায় ক্রস ড্যাম-১ ও ক্রস ড্যাম-২ নামে দু'টি সফল ক্রস ড্যাম নির্মাণ করা হয়। ২০০৯-১০ সালে চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

সমীক্ষায় ৪টি ক্রস ড্যামের স্থান নির্ধারণ করা হয়। স্থানগুলো হলো- সন্দ্বীপ-উড়িরচর, উড়িরচর-নোয়াখালী,  নোয়াখালী জাহাজ্যার চর ও জাহাজ্যার চর-সন্দ্বীপ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হ্যাস্কনিন ডিএইচভি, বাংলাদেশের ডিইভিকন লিমিটেড এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার  মডেলিং প্রতিষ্ঠান ফিজিবিলিটি স্টাডি করে। প্রকল্পের আওতায় ২ কিলোমিটার ক্রসড্যাম, ৬ কিলোমিটার টাই বাঁধ এবং ৩০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –