• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

`মহামারীতে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা` 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের কোন কোন নেতা যেখানে জাতীয়তাবাদী বা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা জার্মানীর তৎকালীন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মতো নেতারা এ সময়ে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সংহতি, এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিয়েছেন।

শুক্রবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তিনি এ কথা বলেন।

মালদ্বীপের কলা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী ইউমনা মামুন তার ভিডিও বার্তায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের চেতনাকে বহন করে। টেলরস ইউনিভার্সিটির নির্বাহী ডিন প্রফেসর ড.লীথিয়ানান্থন আরি রাগাভান বলেন যে, ভাষা-সৃষ্ট যোগসূত্র সংস্কৃতির দেয়াল পেরিয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন যে, কোভিড-১৯ মহামারী ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, চলমান মহামারী কাটিয়ে উঠতে হলে ভাইরাসের ভাষা, রাষ্ট্রের ভাষা এবং জনগণের ভাষার মধ্যে মেল-বন্ধন তৈরির কোন বিকল্প নেই।

এছাড়া এ অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক রেজিওনাল ব্যুরো ফর এডুকেশন-এর পরিচালক শিগেরা অয়াগি, মালয়েশিয়ায় ইউনিসেফের কান্ট্রি রেপ্রেজেন্টেটিভ ড. রাশেদ মোস্তফা সারওয়ার বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলরস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ওয়ান জাওয়াই । এছাড়া ‘মহামারী ও ভাষা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় থাইল্যান্ডের চুললিংকন ইউনিভার্সিটির ড. নুংথাই, সিঙ্গাপুরের শামিনি ফ্লিন্ট, ফ্রান্সের প্রীতা সমরাসান, হংকং-এর জোসেফ গঞ্জালেস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আমেনা মোহসিন অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস্ স্বাগত বক্তব্য দেন। ভারতের হাইকমিশনার, মালদ্বীপ ও নেপালের চার্জ দ্য এফেয়ার্সও এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, রাশিয়া, জাপান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং শ্রীলংকার হাইকমিশন/দূতাবাস সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –