• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে শালকি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

নীলফামারী শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডোমার উপজেলা। আর এই ডোমার উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে শালকি নদী। প্রবাহমান নদীটি নাব্যতা হারিয়ে এখন কালের সাক্ষী। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভরা যৌবন হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। 

জানা গেছে, ডোমার উপজেলার চিকনমাটি থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের এই নদীটি মিলিত হয়েছে দেওনাই নদীতে। নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে শেষ ভাগ পর্যন্ত বেশির ভাগ অংশ চলে গেছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। শালকিকে এখন দেখলে মনেই হবে না এটি একটি প্রবাহমান নদী ছিল। পানির প্রবাহ না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে মানচিত্র থেকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর বিভিন্ন স্থান দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করায় তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ আবার কেউ দোকান আবার কেউ ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার প্রায় সব ক্লিনিকের ময়লা আর্বজনা ছাড়াও শহরের ময়লা-আর্বজনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। নদীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে চিলাহাটি যাওয়ার রেললাইন। নদী ভরাট হওয়ায় রেল সেতুর কিছু জায়গার মাটি ভেঙে ধসে সুরঙ্গ তৈরি হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নদী।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন স্থানে নদীটিকে দখলে নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়েছে এর আকার। কোথাও কোথাও আবার মাটি ফেলে নিজের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখলে মনে হয়, নদীটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে গেছে।

শিক্ষক জুলফিকার আলী মিঠু বলেন, নদীটি সংস্কার করে দুই পাড় দিয়ে ছোট রাস্তা তৈরি করলে মানুষের চলাচলের উপযোগী হবে। ফলে নদীটি তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে।

রাশেদ আলী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শালকি নদীকে বলা হয় ডোমারের প্রাণ। এই নদীকে পরিকল্পনা করে ব্যবহার করলে ডোমারবাসীকে আর পানিবন্দি হয়ে থাকতে হবে না।

স্থানীয় সাংবাদিক রওশন রশীদ বলেন, নদীটি রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। গত কয়েক বছর জেলার সব নদী খনন হলেও অজ্ঞাত কারণে এই নদীটি খনন করা হয়নি। নদীটি সংস্কার না করায় দিনে দিনে মাটি ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, নদীটি সংস্কার করা জরুরি। সংস্কার হলে নদীটি পানি ধরে রাখতে পারবে। আবারো হারানো গৌরব ফিরে পাবে নদীটি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, নদী খননের বিষয়ে আমরা উপরে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে খননের প্রক্রিয়ায় রয়েছে শালকি।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –