আদিতমারীতে অস্ত্রসহ ৪ যুবক আটক

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় একটি রামদা ও দেশি অস্ত্রসহ ৪ যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (৬ মে) রাতে উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সরলখাঁ গ্রামের একরামুল হকের ছেলে বিড়ি শ্রমিক আজিজুল ইসলাম, একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মাসুদ রানা,  লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দবাজার এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে ফরিদুল ইসলাম ও একই গ্রামের হামিদার রহমানের ছেলে জিয়াদ হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দেড় মাস আগে সরলখাঁ গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সাজ্জাদের সঙ্গে ঝগড়া হয় পাঠানটারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন ওয়াশিমের। এরই জেরে শুক্রবার রাতে সাজ্জাদের নেতৃত্বে ১০টি মোটরসাইকেলের বহরে দেশি অস্ত্র হাতে ৩০-৩৫জন যুবক পাঠানটারী এলাকায় এসে ওয়াশিমের বড় ভাই জসিমকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রামদা দিয়ে কোপ দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ওয়াশিম চিকিৎকার দিয়ে দৌড় দিয়ে রক্ষা পায়।

স্থানীয়রা ছুটে এসে একটি রামদা, ৪টি রড ও কিছু লাঠিসহ চারজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যাবার পথে ওই মহাসড়কে পাশে বসে থাকা পাঠানটারী এলাকার মজিদের ছেলে প্রিন্সকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেয়ে পেছনে ধাওয়া করলে দেড় কিলোমিটার দূরে প্রিন্সকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। 

স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অস্ত্রসহ আটক ৪ যুবককে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। 

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চারজনকে আটক করে। অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।