পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন: মার্সি টেম্বন

বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গতকাল শনিবার সেতুর উদ্বোধনী সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এই সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে।

মার্সি টেম্বন বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণের সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার খামারে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। সবমিলে পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। 

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় নির্মিত সেই সেতুর উদ্বোধন হয়েছে শনিবার। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলেছিল, তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। এ নিয়ে কানাডার আদালতে মামলাও হয়েছিল, কিন্তু তা টেকেনি।

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিদের আসনে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধিকে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশ এই সেতু থেকে লাভবান হবে মন্তব্য করে মার্সি টেম্বন বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি, এই সেতুর নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের উন্নয়নের বন্ধু হিসেবে আমরা উচ্ছ্বসিত।’