• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

টকশোতে সত্য-মিথ্যা যে যেভাবে পারছে বলছে

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমি ক্ষমতায় আসি তখন দেশে একটিমাত্র টেলিভিশন, একটি রেডিও ও সামান্য কয়েকটি পত্রিকা ছিল। আমি সরকারে আসার পর গণমাধ্যমে বেসরকারি খাতের অন্তর্ভুক্তি উন্মুক্ত করে দিলাম। শুধু তাই নয়, টেলিফোন ছিল এ্যানালগ, ডিজিটাল করে দিলাম। মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, কম্পিউটার শিক্ষা, এই যে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ওপর ট্রেনিং, এগুলোর ব্যবস্থা আমরাই করে দিয়েছি।

জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় এক ঘণ্টার এই সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, মিডিয়ার স্বাধীনতা, আগামী নির্বাচন ও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপপ্রয়োগের ফলে বাংলাদেশে এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে, যার ফলে মিডিয়াগুলো ব্যাপক সেলফ সেন্সরশিপ চর্চা করছে- এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ৪৪টি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া আছে, সেখানে প্রায় ৩২টি টেলিভিশন এখন চলছে। সেখানে যারা যান, কথা বলেন, বিশেষ করে টক শো প্রোগামটাতে খুব বেশি কথা হয়। তারা সারাদিন কথা বলে। সরকারকে গালি দেয়া, সমালোচনা করা, প্রত্যেকটা কাজে সত্য-মিথ্যা যে যেভাবে পারছে বলছে। সব কথা বলার পর কেউ যদি বলে ‘আমাকে কথা বলতে দিল না’, তার কী জবাব আছে?

তিনি আরও বলেন, এক সময় দেশে প্রতি রাতে কারফিউ জারি করা হতো, মানুষ রাস্তায় বের হতে পারত না। একটা মানুষ যে কথা বলবে, প্রতিবাদ করবে সে অধিকারটা ছিল না। একটা কথা প্রচলিত ছিল যে, সাদা একটা মাইক্রোবাস কাউকে তুলে নিলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যেত না। আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার-সৈনিক, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলতে পারি যে, পঁচাত্তর সাল থেকে নিয়ে ৮৬ সাল পর্যন্ত ১৯টা ক্যু হয়েছে বাংলাদেশে। এরপরেও ক্যু অ্যাটেম্প হয়েছে কয়েকবার এবং সেই সময়ে কোন মানুষের কোন অধিকার ছিল না। কথা বলার কোন অধিকার ছিল না। মত প্রকাশের কোন অধিকার ছিল না যে তারা একটা কোন প্রতিবাদ করবে। সেই অবস্থাটা বিরাজমান ছিল।

বাংলাদেশ কেন আর কোন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না, এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের নানা সঙ্কট রয়েছে। রোহিঙ্গারা যখন এসেছে তখন তাদের চল্লিশ হাজার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আমরা তাদের চিকিৎসা ও সন্তান জন্ম দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এতে করে রোহিঙ্গাদের মাঝেই জনসংখ্যা আরও বেড়েছে। করোনার সময় আমরা রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিনও দিয়েছি। কিন্তু দিন শেষে আমাদেরও তো সীমাবদ্ধতা আছে। বনভূমি উজাড় করে তাদের বাসস্থান তৈরি করতে গিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চাপ সামলানো আমাদের জন্য একপ্রকার বোঝা। তাই আমরা বলেছি, এখন বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে এসে রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –