• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জাতিসংঘ ভবনে সেমিনারে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২২  

জাতিসংঘ ভবনে সেমিনারে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি             
সুইজাল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে এক সেমিনারে বক্তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বাঙালি জাতির ওপর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন।

ইউরোপভিত্তিক প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশন চলাকালে এ সেমিনারকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন আয়োজকরা।

ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং সুইজারল্যান্ড মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের শুরুতে আমরা একাত্তর, প্রজন্ম একাত্তর ও বাসুগ নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাসুগের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক, সুইডেনের হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আসিফ শাকার, ব্রাসেলসভিত্তিক উন্নয়ন গবেষণা সহযোগিতার পরিচালক অধ্যাপক ড. তাজিন মুরশিদ, জার্মানি থেকে প্রকাশিত ‘৫০ বছর বাংলাদেশ’র সম্পাদক ও বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ড্যানিয়েল জাইডল, জুরিখের যোগাযোগ পরিচালক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির নির্বাসিত চেয়ারম্যান সরদার শওকত আলী কাশ্মীরি, বেলুচ ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের সভাপতি মুনির মেঙ্গল, ইবিএফ ইউকের প্রেসিডেন্ট আনসার আহমেদ উল্লাহ, সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম মিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল এইচআর কমিশন বিডি, সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট রহমান খলিলুর মামুন।

জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য ও শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস লড়াই করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ জাতিসংঘের কাছে এ গণহত্যার সুবিচার চায়। জাতিসংঘের স্বীকৃতি চায়।

বিচারপতি সৈয়দ আলী শাকার বলেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সঠিক বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করতে হবে, যেখানে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকতে হবে।

সুইডেনে নির্বাসিত পাকিস্তানি নাগরিক আলী শাকার বাংলাদেশের একজন প্রবল সমর্থক এবং একাত্তরে গণহত্যার তীব্র সমালোচক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও সামরিক শাসনে বাংলাদেশের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য তাকে ছয়মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়।

অধ্যাপক ডা. তাজিন মুরশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যদি এ ব্যাপারে দ্রুত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা না হয়, জনতার আদালত গঠন করে একাত্তরের গণহত্যার একক এবং সম্মিলিত হত্যাযজ্ঞের শুনানি নথিভুক্ত করা হবে এবং দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশের বন্ধু পদকে ভূষিত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, বাংলাদেশ গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –