• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ড্রোন হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি: আমিরাতের হুঁশিয়ারি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২২  

রাজধানী আবুধাবিতে সন্দেহভাজন হুতি হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বলেছে, তাদের এর প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয় সন্দেহভাজন ড্রোন হামলার নিন্দা করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এদিকে হুতিবিরোধী সৌদি সামরিক জোট জানিয়েছে, এ ঘটনার জবাবে সোমবারই জোটের যুদ্ধবিমানগুলো বিদ্রোহীদের অধিকারে থাকা ইয়েমেনি রাজধানী সানায় বোমা ফেলেছে।

সন্দেহভাজন হুতি হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়। খালিজ টাইমস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "ইউএই এই সন্ত্রাসী হামলা এবং অপরাধমূলক উত্তেজনা বৃদ্ধির জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।"

ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক এবং মানবিক আইন লঙ্ঘন করে হুতি মিলিশিয়াদের একটি "ঘৃন্য অপরাধ" বলে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ওই গোষ্ঠীটি "এ অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করতে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিচ্ছে"।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় বেসামরিক লোকজন এবং স্থাপনাকে লক্ষ্য করে চালানো এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে।

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়া মতাদর্শী হুতি বিদ্রোহীরা ঘটনার কিছু আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে লক্ষ্য করে একটি হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। তবে তখন তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি। হুতিরা আগেও আমিরাতে বেশ কয়েকটি হামলার দাবি করেছে যা দেশটির কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন।

সোমবার কোন ‘উড়ন্ত বস্তুর’ আঘাতে আবুধাবি বিমানবন্দরে একটি নির্মাণকাজের এলাকায় আগুন লেগে যায়। একই সময়ে মুসাফাহ এলাকায় আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কম্পানির তিনটি বড় পেট্রল ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ বলেছে, উভয় স্থানে 'ছোট উড়ন্ত বস্তুর' নমুনা পাওয়া গেছে যা প্রমাণ করে যে, সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সুন্নি মতাদর্শী জোট প্রতিবেশি ইয়েমেন সরকারের পক্ষে শিয়া আদর্শের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ওই জোটের সদস্য। সৌদি আরবের ওপর হুতিদের প্রতিশোধমূলক আক্রমণের প্রধান ধরন হলো ড্রোন হামলা। আমিরাত ইয়েমেনের লড়াই থেকে তার জাতীয় বাহিনীকে মূলত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে তারা এখনো সরকার সমর্থক স্থানীয় মিলিশিয়াদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –