• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঠাকুরগাঁওয়ে কুমির আতঙ্কে মাছ ধরা বন্ধ!

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০  

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন  নাগর নদীতে কুমিরের দেখা মিলেছে। কুমির গুলো লম্বায় ৬-৭ ফুট। ওজনে ৫০-৬০কেজি। কোনটা আবার আকারে ছোট। নদীতে কুমির দেখার পর জেলেরা প্রাণের ভয়ে মাছ ধরতে নদীতে নামছে না। কুমির আতঙ্কে ভুগছে গ্রামবাসি।
 
নাগর নদী সংলগ্ন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিটালডোবা গ্রামের সমিরউদ্দিন জানান- সোমবার বিকালে স্থানীয়রা ওই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আকস্মিক দেখতে পায় ওই নদীতে একটি কুমির ভাসছে। কুমির দেখে জেলেরা চিৎকার  করলে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে যায়। 

উত্তর নিটালডোবা গ্রামের হালিমার মেয়ে লাবনী বলেন- তিনি দূর থেকে কুমিরটির ছবি তুলেছেন। তবে অনেক মানুষের সমাগম দেখে অল্পসময়ের মধ্যে কুমিরটি পানিতে ডুব দিলে আর দেখা যায়নি। 

গ্রীন ল্যান্ড টি কোম্পানির মালিক ফয়জুর রহমান বলেন- ওই নদীতে কুমির রয়েছে। তবে সঠিক করে বলা যাচ্ছে না, কুমিরটি কোথায় অবস্থান করছে। 

এর আগে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী এলাকায় একই নদীতে স্থানীয়রা কুমির দেখতে পায়। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর ডাবরী বিওপির কম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন- পাঁচ-ছয়টা কুমির দেখা মিলেছে। তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় জেলেদের নদীতে নামতে সর্তক করেছেন। 

এ বছর বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয়, বন্যার পানিতে কুমির গুলো ভারত থেকে এই নদীতে ঢুকতে পারে বলে মন্তব্য করেন গেদুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ। তবে তিনি বলেন- এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় কুমির গুলো নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের জন্য ছুটাছুটি করছে । 

বরুয়াল গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন- এলাকার ৫০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে সংসার চালায়। কুমির দেখে এখন তারা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া কৃষকরা নদী ওপারে গিয়ে ক্ষেত খামারের পরিচর্চা করতে এবং গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়াতে যেতে ভয় পাচ্ছে। 

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন- বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –