অভাবের মধ্যেও মা, বাবা’র সেবা করলে পুরস্কারের ঘোষণা রাণীশংকৈলে   

অভাবের মধ্যেও মা বাবা’র বিন্দু পরিমান অবহেলা করে না তেমন সন্তানদের ফল, শুকনো খাদ্য উপহার ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা ভূমি অফিসার প্রিতম শাহা।

রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এটি একটি ব্যতিক্রম উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন ভূমি অফিসার প্রিতম শাহা। প্রতি সপ্তাহে নিজ অর্থায়নে ২ জন মা এর সন্তানকে তিনি ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, যে সন্তানেরা অভাবের মাঝেও মা, বাবার সেবা, যত্ন ও দেখভাল করেন।

বৃহস্পতিবার রাণীশংকৈল হাড়িয়া (মলানী) গ্রামে প্রিতম শাহ নিজে ফুলের তোরা ও ফলের ঝুড়ি নিয়ে উপস্থিত হোন মৃত হযরত আলীর ছেলে মজিবুর রহমানের বাসায়। মজিবর রহমান অভাবের মাঝে তার মা সহরবানু (৮৫) এর সুন্দরভাবে দেখাশোনা করেন ও যত্ন নেন। এমন খবর পাওয়ার পরেই সেখানে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রিতম শাহা।

এসময় এলাকার অনেকেই প্রিতম শাহা এর এমন উদ্যেগকে সাধুবাদ জানান। তার সাথে এর পর থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা পাওয়ার জন্যও অনেকে প্রিতম শাহকে তাদের বাবা মায়ের সেবা-যত্ন আরো ভালোভাবে করবেন বলে জানান। প্রিতম শাহাও তাদেরকে বাবা মায়ের সেবা করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন।

এলাকাবাসী জানান, বাবা মা এর সেবা যত্ন করা সন্তাদের ধর্ম। তার পরেও দেখা যায় অভাব অনটনের কারণে পিতা মাতার প্রতি অবহেলা হয়েই যায়। কিন্তু সন্তানের বাবা মা এর প্রতি যে দায়িত্ব তা বুঝিয়ে দিলেন ভূমি অফিসার প্রিতম শাহা।

ফুলেল শুভেচ্ছা পাওয়া মজিবর রহমান বলেন, আমি শুভেচ্ছা পাওয়ার জন্য মায়ের সেবা করি নাই। আমার মা আমাকে জন্ম দিয়েছে। এটা আমার ধর্ম আমার মা এর সেবা করা। তবে প্রিতম শাহা স্যারের উদ্যোগ অনেক সুন্দর ও প্রশংসনীয়।

এর পরে রাণীশংকৈল ভূমি অফিসার প্রিতম শাহা নেকমরদ এলাকায় আরেকটি পরিবারের সন্তানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও ফল, শুকনো খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন।

ভূমি অফিসার প্রিতম শাহা বলেন, পিতা মাতার সেবা, যত্ন করা সন্তানের ধর্ম। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় এখন অনেক সন্তান বাবা মায়ের সেবা করে না। অনেক পিতা মাতা সন্তানের বিরুদ্ধে আমার কাছে নালিশ নিয়ে আসে। এসব কিছু দেখে আমার মন কেদেঁ ওঠে। তাই আমি যে সকল সন্তান বাবা মায়ের সেবা যত্ন করে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই।