• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ফুটবল খেলতে পর্তুগাল যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে কাকলী আক্তার

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২  

নিজের অদম্য শক্তি ও দক্ষতায় ঠাকুরগাঁওয়ের ভারত সীমান্তের রাণীশংকৈল উপজেলার অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে কাকলী আক্তার ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে পর্তুগালে। তার এমন কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি খুশি উপজেলাবাসী ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি ১২ বছর বয়স থেকে সীমান্তবর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমিতে খেলে কাকলী আক্তার। নিজের অদম্য শক্তিতে ফুটবলে পারদর্শী হয়ে ওঠে সে।

বাবা ভ্যানচালক, মায়ের চা-পানের দোকানের আয় দিয়ে ঠিকমতো চলে না সংসারের খরচ। তবে সেই অভাব-অনটন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তার খেলাধুলার পথে। নিয়মিত অনুশীলন এবং বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে নিজের প্রতিভা ফুটিয়ে তুলেছে এই তরুণ ফুটবলার।

ইউরোপে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট থেকে এগারো জন করে মেয়ে, ছেলে বাছাই করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অসাধারণ দক্ষতা ও পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে সেখানে জায়গা করে নেয় ঠাকুরগাঁওয়ের কাকলী আক্তারও। প্রশিক্ষণের জন্য ছেলেদের পাঠানো হবে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। আর কাকলীরা যাবে পর্তুগালে। তার এমন কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি খুশি উপজেলাবাসী ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

মেয়ের অর্জনে উচ্ছ্বসিত কাকলীর বাবা আবুল কাশেম ও মা বানেছা বেগম জানান, ছোট থেকেই কাকলী খেলায় মনোযোগী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি বল হাতে পেলেই খেলত। পরে স্থানীয় রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমিতে যোগ দেয়। অর্থসংকটের কারণে তাকে ভালো কাপড়, ভালো খাবার দিতে না পারলেও সে খেলায চালিয়েছে নিয়মিত। বর্তমানে সে পর্তুগাল যাবে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে সে আরও সাচ্ছন্দ্যে তার খেলা চালিয়ে যেতে পারবে।

প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও এমন সুযোগ পেয়ে খুশি কাকলী। এই কিশোরী ফুটবলার বলে, ‘নানা সংকটের মধ্যে খেলা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। খেলার ড্রেস, বুটসহ অর্থসংকট রয়েছে। তারপরও খুশি ভালো খেলে প্রশিক্ষণে যেতে পারছি পর্তুগালে।’

রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তাজুল ইসলাম জানান,   সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখান থেকে আরও দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি করা সম্ভব। সীমান্তের এ উপজেলায় ২০১৪ সালে রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমিটি স্থাপিত হওয়ার পর জাতীয় দলে ৪ জন, বিকেএসপিতে ১৫ জন, আর্মিতে ৩ জন খেলার সুযোগ পেয়েছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –