• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জুয়েলের কমলা বাগান দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২৪  

থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা। ফলনে ভরে গেছে বাগানের চারপাশ৷ বাগানের প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে প্রচুর। দার্জিলিং জাতের এ ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও বাগানটি দেখার জন্য প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করছেন। এমনি একটি কমলা বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল।

ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের জুয়েল নামে এক কৃষক ১১ বছর আগে হর্টিকালচার থেকে হাতেগোনা কয়েকটি চারা ক্রয় করে জমিতে রোপণ করেন। দু’বছরের মাথায় আশানুরূপ ফল হওয়ায় বাগানের পরিধি বাড়ায়। বর্তমানে বাগানে প্রায় চার শতাধিক কমলা গাছ রয়েছে।

তার বাগানের কমলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিবছর বাগানের পরিধি বাড়ায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে অনেকের। নভেম্বর মাস থেকে বাগানের উৎপাদিত কমলা ২০০-৩০০ টাকা দরে কেজিতে বিক্রি করতে শুরু করেছেন তিনি। বাগানের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভীড় করছেন দর্শনার্থীরা। ছবি তোলার পাশাপাশি কিনছেনও অনেকে৷ 

বাগান দেখতে আসা স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারসহ কমলা বাগান দেখতে এসেছি। আগে কমলা বাগান শুধু ছবিতেই দেখেছি। আজ বাস্তবে গাছে ঝুলন্ত কমলা দেখলাম। আর পুরো বাগানে কমলা ঝুলে রয়েছে। দেখতেই অনেক সুন্দর লাগছে। এই কমলা খেয়ে মনে হল না যে আমার দেশের মাটিতে উৎপাদিত কমলা খাচ্ছি।’

কমলা বাগানে প্রথম থেকেই কাজ করেন নরেন মোহন। তিনি বলেন, ‘আমি বাগানের প্রথম থেকেই কাজ করছি। এখন প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের উপর মানুষ আসে এই বাগান দেখতে। আমরা বাগানে ৮-১০ জন এখন কাজ করতেছি।’

দার্জিলিং জাতের কমলার বাগানের মালিক আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল বলেন, এই বাগান থেকেই এবার ১০ হাজার মেট্রিক টন কমলা উৎপাদন হবে আশা করছি। আমার বাগানের বয়স প্রায় ১১ বছর। তিন বছর পর থেকেই ফলন আসা শুরু হয়েছে। এর আগে আমি ফল পাইকারি বিক্রয় করে দিতাম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই বাগান দেখতে আসে। এর আগে তাদের বসার জায়গা ছিল না। এখন বসা ও হালকা খাবারের জন্য হোটেল করা হয়েছে। তবে কৃষকরা যদি এভাবে কমলার বাগান করতে এগিয়ে আসে তাহলে কৃষিতে একটা বিপ্লব ঘটবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলায় কমলা বাগানের নিরব বিপ্লব ঘটছে। জুয়েলের বাগান রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। নতুন কেউ আগ্রহী হলে আমরা পাশে থাকবো।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –