• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্থায়ী কমিটির ভূমিকায় সন্দিহান বিএনপির কর্মীরা 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার দাবিতে ডাকা আটদিনের আন্দোলনে স্থায়ী কমিটির ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন দলটির কর্মীরা। অনলাইন মাধ্যমে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। 

বিএনপির কর্মীরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে খালেদা জিয়াকে দণ্ড থেকে মুক্ত না করে তামাশার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কারো সঙ্গে আঁতাত করে পাতানো আন্দোলন করছেন। খালেদা জিয়াকে মৃত্যু শয্যায় রেখে চিকিৎসা নিয়ে অপরাজনীতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বুধবার দুপুরে আটদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বর যুবদল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে, ২৬ তারিখ বাদ জুমা খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে, ২৮ তারিখ স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে, ৩০ তারিখ বিভাগীয় সদরগুলোতে বিএনপি সমাবেশ করবে।

সূত্র জানায়, ঘোষিত এসব কর্মসূচিকে বিচ্ছিন্ন ও ছেলেখেলা আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির অনেক সমর্থক। তারা অনলাইনে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে ইঙ্গিত করে দুর্বল কর্মসূচি ঘোষণার জন্য দায়ী করেছেন।

সাইফুল ইসলাম নামে বিএনপির এক সমর্থক বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো যেত। খালেদা জিয়া না বাঁচলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না। তাই খালেদা জিয়াকে বাঁচানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটা উচিত। শুধু তামাশার কর্মসূচি ঘোষণা করে ভোগান্তি ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না।

তাসরিক হাসান নামে আরেক বিএনপির সমর্থক বলেন, বেগম জিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাচ্ছেন আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা সার্কাস অ্যারেঞ্জ করছেন। ৩০ তারিখ নাকি তাদের বিভাগীয় মহাসমাবেশ!

জানতে চাইলে বিএনপির এক নীতিনির্ধারক বলেন, কর্মীদের আবেগকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তাদেরকেও বুঝতে হবে, প্রস্তুতি ছাড়া বড় কোনো কর্মসূচি পালন করা যায় না। কর্মসূচি ঘোষণা করে পালন না করতে পারলে সেই কর্মসূচি ঘোষণার কোনো অর্থ নেই। আবার জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো কিছুও করা যাবে না। জ্বালাও-পোড়াও করলে সরকার আমাদের চেপে ধরতে পারে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে করে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে চাই।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –