• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বিশ্বনবীর ঘোষণায় প্রবীণদের মর্যাদা ও সম্মান 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২১  

গতকাল পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস । ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সম্মান ও মর্যাদা সুরক্ষা এবং অধিকার সুনিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরি করতে ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের স্লোগান হলো- ‘ডিজিটাল সমতা সব বয়সের প্রাপ্যতা’।
ইসলামে দীর্ঘ আয়ু পাওয়া প্রবীণরা সম্মানের দিক থেকেও উত্তম। তারা বেশি নেক আমলের অধিকারী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির সংবাদ দেব না? তারা বলল, ‘হ্যাঁ’, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে দীর্ঘ আয়ু লাভ করে এবং সুন্দর আমল করে।’ (মুসনাদে আহমাদ) 

প্রবীণ বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষাকারী ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সব ভয়-ভীতি ও বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। হাদিসে পাকে প্রিয় নবী (সা.) এর দিকনির্দেশনা থেকেই তা প্রমাণিত। প্রবীণদের মর্যাদা ও সম্মানে কী ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম?

বিশ্বনবীর ঘোষণায় প্রবীণদের মর্যাদা ও সম্মান
ইসলাম প্রবীণদের দিয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার। প্রবীণরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা নয়; বরং দুনিয়া ও পরকালের সফলতার অনন্য অনুপ্রেরণা ও মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। প্রবীণদের সম্মান ও মর্যাদা সুরক্ষা এবং অধিকার সুনিশ্চিতে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় সচেতনতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবী। অনেক পুরস্কার, উপকারিতা ও প্রতিদানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। তাইতো তিনি বলেছেন-

> ‘নিশ্চয়ই শুভ্র চুলবিশিষ্ট মুসলিমকে সম্মান করা আল্লাহকে সম্মান করার শামিল।’ (আবু দাউদ)
> ‘যে ব্যক্তি কোনো বয়োবৃদ্ধের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে কেয়ামতের দিন সব ভয়-ভীতি ও আশংকা থেকে নিরাপদ রাখবেন।’
> রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রবীণদের সঙ্গেই তোমাদের কল্যাণ, বরকত আছে।’ (ইবনে হিব্বান, মুসতাদরাকে হাকেম)

প্রবীণ যে-ই হোক না কেন সব সময় তাকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে। প্রয়োজনীয় দেখাশোনা, খাবার-দাবার, যত্ন-চিকিৎসা, বস্ত্র-বাসস্থান; সবকিছুই হতে হবে মানসম্মত। তবেই দুনিয়া ও পরকালে পাওয়া যাবে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় সেসব ওঠে এসেছে-

১. প্রবীণ বাবা-মার প্রতি করণীয় ও দোয়া
বাবা-মা বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের সঙ্গে আচরণ কেমন করতে হবে; সে সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে স্বয়ং আল্লাহ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এভাবে- ‘আর তোমার রব আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাকে (আল্লাহকে) ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করো না এবং তোমরা বাবা-মার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত (প্রবীণ) হন, তাহলে তুমি তাদের সঙ্গে ‘উফ’ শব্দটিও করো না এবং তাদের ধমক দেবে না। আর তাদের সঙ্গে নরমভাবে কথা বলো। আর তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার ডানা বিছিয়ে দাও এবং বলো (তাদের জন্য দোয়া করো)-

رَّبِّ ارۡحَمۡهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا
‘হে আমার রব, তুমি তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়াবশে প্রতিপালন করেছিলেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ২৩-২৪)

২. প্রবীণদের সালাম দেওয়া
বার্ধক্যে উপনীত প্রবীণদের সালাম দেওয়া। তাদের জন্য শান্তির দোয়া করা। সালামে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবী। হাদিসে এসেছে-
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ছোটরা বড়দের, চলমান ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক বেশিসংখ্যককে সালাম দেবে।’ (বুখারি)

৩. প্রবীণদের ইবাদতে শিথিলতা
নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবীণদের জন্য রয়েছে শিথিলতা। তারা যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে অক্ষম হয় তবে প্রবীণদের জন্য সুবিধাজনকভাবে ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ রয়েছে। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি অর্শ্ব রোগে ভুগছিলাম। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.)  কে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করো। যদি অক্ষম হও তবে বসে পড়ো। যদি তাতেও অক্ষম হও তাহলে শুয়ে শুয়ে পড়ো।’ (বুখারি)

৪. ইবাদতের প্রবীণদের বিশেষ সুযোগ
এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রবীণদের সম্মানে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মাসউদ (রা.)হু বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা.), আল্লাহর কসম! আমি অমুকের কারণে ফজরের নামাজে অনুপস্থিত থাকি। তিনি নামাজকে খুব দীর্ঘ করেন। আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা.) কে উপদেশ দিতে গিয়ে সেদিনের মতো এত অধিক রাগ হতে কখনো দেখিনি। এরপর তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে বিতাড়নকারী বা বিরক্তকারী আছে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নামাজে ইমামতি করবে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, প্রবীণ-বয়োবৃদ্ধ ও বিপদগ্রস্ত লোকও থাকে।’ (বুখারি)

৫. ইমামতিতে প্রবীণদের অগ্রাধিকার
রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রবীণদের নামাজের ইমামতিতেও অগ্রাধিকার দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের বললেন, আল্লাহর কিতাব কোরআন মাজিদের জ্ঞান যার সবচেয়ে বেশি এবং যে কোরআন তেলাওয়াত সুন্দরভাবে করতে পারে, সে-ই নামাজের জামাতে ইমামতি করবে। সুন্দর কিরাতের ব্যাপারে সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরতে অগ্রগামী সে ইমামতি করবে। হিজরতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সে-ই ইমামতি করবে।’ (মুসলিম)

৬. রোজায় প্রবীণদের ছাড়
রোজা রাখার ক্ষেত্রে প্রবীণদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে ইসলাম। অতি বৃদ্ধ বা প্রবীণ ব্যক্তি রোজা পালনে অক্ষম হলে প্রতিদিনের রোজার বিনিময়ে একজন করে মিসকিনকে খাদ্য খাওয়ানো বিনিময়ে প্রবীণকে রোজা রাখায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

হজরত আতা (রাহ.) বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা.) পাঠ করতে শুনেছি যে- আর যাদের জন্য এটি (রোজা পালনে) খুব কষ্টকর হবে, তারা যেন এর পরিবর্তে একজন করে অভাবীকে খাদ্য দান করে।’ এর ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রোজা পালনে অক্ষম বৃদ্ধ-বৃদ্ধার প্রত্যেক দিনের (প্রতিটি রোজার) পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য খাওয়ানোর বিধানসংবলিত এই আয়াত রহিত হয়নি। (বুখারি)

৭. হজ পালনেও প্রবীণদের ছাড়
ফরজ হজ পালনে অক্ষম প্রবীণ ব্যক্তির হজের হুকুম আদায় করতেও বিশেষ সুযোগ দিয়েছে ইসলাম। তাই অক্ষম প্রবীণ বা বৃদ্ধ ব্যক্তির পক্ষ থেকে সক্ষম ব্যক্তির মাধ্যমে হজ করানো ইসলামে বৈধ। প্রবীণদের প্রতি দয়া দেখানোর বিষয়টি ওঠে এসেছে, নামাজ, রোজা ও হজের মতো ইবাদতেও। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘বিদায় হজের বছর খাসআম গোত্রের একজন নারী এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা.)! আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার ওপর যে হজ ফরজ হয়েছে তা আমার বৃদ্ধ বাবার ওপর এমন সময় ফরজ হয়েছে যখন তিনি সওয়ারির ওপর ঠিকভাবে বসে থাকতে পারেন না। আমি তার পক্ষ থেকে হজ করলে তার হজ আদায় হবে কি? তিনি বলেন, হবে।’ (বুখারি)

৮. কথা বলায়ও প্রবীণদের অগ্রাধিকার
বড়দের কথা বলতে দেওয়ার প্রতি অগ্রাধিকার দিতেন বিশ্বনবী। একবার হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সাহল ও মুহাইয়াসা খাদ্যের অভাবে খায়বারে আসেন। ঘটনাক্রমে আবদুল্লাহ নিহত হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে ঘটনাটি বলার জন্য মুহাইয়াসা অগ্রসর হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) মুহাইয়াসাকে বলেন, ‘বড়কে কথা বলতে দাও বড়কে কথা বলতে দাও। তিনি এতে বয়সে প্রবীণ ব্যক্তির কথা বলার অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন।’ (বুখারি) 

শুধু তা-ই নয়, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নৈকট্যে পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবীণদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। তিনি বলতেন- ‘তোমাদের মধ্যকার প্রবীণ ও জ্ঞানী লোকেরা যেন আমার কাছাকাছি দাঁড়ায়। তারপর পর্যায়ক্রমে দাঁড়াবে যারা তাদের কাছাকাছি, তারপর দাঁড়াবে যারা তাদের কাছাকাছি তারা।’ (মুসলিম) 

বয়োবৃদ্ধ প্রবীণদের করণীয়
তবে বৃদ্ধ বয়সে প্রবীণদের করণীয় হলো- যথাসাধ্য ইবাদত-বনেদইগতে নিয়োজিত থাকা। অনেক প্রবীণ ব্যক্তির মেজাজ খিটখিটে থাকে। ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হলে খিটখিটে ভাব থাকে না। তাই প্রবীণ বয়োবৃদ্ধদের জন্য বেশি বেশি তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া-দরূদ, তাওবাহ-ইসতেগফারে সময় অতিবাহিত করা জরুরি। মহান আল্লাহ বলেন-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর, খাঁটি তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন; যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, নবি ও তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান’ (সুরা তাহরিম : আয়াত৮)

প্রবীণদের বেশি বেশি এ দোয়া করা-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ঝুবনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আজাবিল কবরি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে অতি বার্ধক্যে পৌঁছার বয়স থেকে আশ্রয় চাই এবং তোমার কাছে দুনিয়ার ঝগড়া-বিবাদ ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি)

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর সব প্রবীণদের আরও কর্তব্য হলো আত্মীয়-স্বজনদের যথাসম্ভব খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের দোয়া করা। যেভাবে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বৃদ্ধ বয়সে এসেও তার ছেলে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান এবং এক সঙ্গে কাবা ঘর নির্মাণ করেন; তাদের জন্য ও পরবর্তী বংশধরদের জন্য দোয়া করনে।

আবার প্রবীণদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় তাদের প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়াও জরুরি। তাই প্রত্যেককে প্রবীণদের অধিকার ও মর্যাদা এবং তাদের প্রতি করণীয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

আল্লাহ তায়ালা সবাইকে প্রবীণদের যত্ন ও সম্মান করার মাধ্যমে নিজেদের জান্নাতবাসী করার তাওকি দান করুন। আমিন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –