• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

আজ শুভ মহালয়া

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২১  

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। হিন্দু ধর্ম মতে, মহালয়ায় দেব-দেবীরা দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। আজ থেকে দুর্গাপূজার দিন গোনা শুরু, ছয়দিন পরেই আসবে মহা ষষ্ঠী।

আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া-পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়। ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। শ্রী রামচন্দ্র অকালে অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এ শরতের পুজাকে দেবীর অকাল বোধন বলা হয়। পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হলেও আজ থেকেই দুর্গাপূজার আগমনীধ্বনী পূজার্থীরা শুনতে পাবেন।

বুধবার ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপূজার এ দিনটি সারাদেশে বেশ আনন্দঘন মূহুর্তের সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে, মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। আসছে ১১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত কাল থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমণধ্বনি শুনতে পাবেন।

এ উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। করোনার প্রকোপের কারণে এবারের আয়োজনে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।  দেবীর আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদের আয়োজনে ভোরে বনানী মাঠে দেবী বরণের আয়োজন শুরু হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি। যা গত বছর থেকে চারটি বেশি।

পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত আসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সন্মিলিতভাবে মহামায়ার রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন। দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী নিয়ে দেবী দুর্গা নয় দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –