আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনে অবহেলা নয়
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২১
বহু মানুষ, যাদের সামান্য লেখাপড়া আছে, যাদের কিছু লেখালেখি, যাদের প্রতি মানুষের মনোযোগ আছে, তারা মনে করে আমরা কিছু জানি-বুঝি, তাহলে কেন অন্যের কথা শুনতে যাব, অন্যের কাছে বুঝতে যাব। কারো সান্নিধ্যে থেকে উপকৃত হওয়ার প্রয়োজন আমার নেই। তাদের এমন চিন্তা মোটেও ঠিক নয়, বরং বাস্তবতা হলো, একজন মানুষ যে স্তরেরই হোক এবং যে বয়সেরই হোক, সে খ্যাতিমান হোক বা অখ্যাত হোক, সে আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন ও কোনো বুজুর্গের সান্নিধ্য থেকে অমুখাপেক্ষী নয়। সাহাবায়ে কিরাম (রা.), যাঁরা মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এবং যে সান্নিধ্যের মূল্য ও প্রভাব আমরা ভাষায় বর্ণনাও করতে পারব না, তার পরও তাঁরা নিজেদের ঈমান বৃদ্ধির চিন্তায় থাকতেন, তাঁরা ভাবতেন কিভাবে তাঁদের দ্বিনি অবস্থার উন্নতি ঘটবে, অন্তরে ঈমানের সেই অনুভূতি জাগ্রত হবে, যা মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্যে হতো। ইমাম বুখারি (রহ.) সাহাবিদের একটি উক্তি বর্ণনা করেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে বসো, আমরা কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি।’ অর্থাৎ এসো ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করি, ঈমানের অনুভূতি জাগ্রত করি এবং সে আনন্দ ভাগ করে নিই। এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, ঈমান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সান্নিধ্য ও আলোচনার প্রয়োজন সাহাবায়ে কিরাম (রা.) অনুভব করেছিলেন। তাহলে পরবর্তী লোকেরা কিভাবে তা থেকে অমুখাপেক্ষী হয়? অভিজ্ঞ লোকেরা জানে, মানুষের আলোচনা শুনলে তার প্রভাবে অন্তরে বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিজে বললে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় না। সুতরাং যারা অন্যদের উদ্দেশে কথা বলে, তাদের উচিত কখনো কখনো অন্যের কথা শোনা, কখনো কখনো অন্যের থেকে উপকৃত হওয়া, কখনো বক্তা না হয়ে শ্রোতা হওয়া, মনোযোগসহ কোনো বুজুর্গ ব্যক্তির আলোচনা শোনা। যেন অন্তরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়, যাকে অন্তরের জীবন বলে।
যাদের সামান্য অভিজ্ঞতা আছে এবং যাদের অন্তর মৃত নয়, তারা জানে অন্যের তুলনায় নিজের ঈমানকে হাজার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর তা হয় আল্লাহওয়ালাদের কথা বিনয় ও শিষ্টাচারের সঙ্গে শোনার দ্বারা। যদি সে মনে করে, আমি বড় হয়ে গেছি এবং আমি অমুখাপেক্ষী, তবে তার চেয়ে বড় বঞ্চিত ও হতভাগ্য কেউ নেই। বুজুর্গ আলেমরা বিষয়টিকে এভাবে উপস্থাপন করেন, কোনো ফকির যদি চিৎকার করে বলে যে আমার কাছে সব কিছু আছে, তবু আমি চিৎকার করি। তবে বড় বড় দানশীল ব্যক্তিরও তার জন্য দয়া হবে না। মানুষের দয়া ও অনুগ্রহ লাভ করতে হলে নিজের প্রয়োজন প্রকাশ করা আবশ্যক। আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের জন্যও প্রয়োজন হলো আল্লাহওয়ালাদের দরবারে নিজেকে নিঃস্ব, অসহায় ও মুখাপেক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা এবং এটি বোঝানো যে তাঁর দরবার থেকে কিছু নেওয়ার জন্যই এখানে আসা হয়েছে।
কিছুদিন পর পর আমার মনে হতো, আমি এমন কোনো বুজুর্গের সেবায় উপস্থিত হই। এমন সময়ে আমাদের কাছাকাছি বুজুর্গদের মধ্যে মাওলানা ওয়াসিউল্লাহ (রহ.)-কে সবচেয়ে বেশি স্নেহপরায়ণ মনে হতো। আর মুনাসিবাতের (সব দিক থেকে অনুকূল হওয়া) বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মানুষের ইচ্ছার বাইরে। এ ক্ষেত্রে কোনো নির্ধারিত নিয়ম বা মূলনীতি নেই যে আনুকূল্য কেন তৈরি হয়, কিভাবে হয় এবং কখন হয়? কোনো বুজুর্গের সঙ্গে আনুকূল্য তৈরি আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। যা-ই হোক, আমি হজরতের কাছ থেকে উপকৃত হতাম।
তাঁর স্নেহ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, তাই বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করছি না। হজরতের দরবারে উপস্থিত হলে নিজের কাছে আমাকে মূর্খ ও বোবা বলে মনে হতো। তিনি যা বলতেন, তাঁর কাছ থেকে যা শিখতাম, তা আমার সাধ্যের বাইরে মনে হতো। আমার উপলব্ধি হলো, দ্বিনের মর্ম বুজুর্গদের সান্নিধ্যে গেলেই জানা যায়। তাদের যদি কোনো উপকার না হয়, তবে এতটুকু উপকার তো হয়ই যে সে কিছু জানে না, তার জানার প্রয়োজন আছে। উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি যখন কোনো বুজুর্গের সান্নিধ্য লাভ করে, তখন বড় আঘাতটি লাগে তার মস্তিষ্কে। তার মনে হয়, আমি তো নিতান্তই মূর্খ ও অজ্ঞ। আমি শুধু কিছু অক্ষরজ্ঞান রাখি। দ্বিনের প্রকৃত জ্ঞান থেমে আমি বহুদূরে। আমার স্মরণ আছে, যখন মাওলানা সাইয়েদ সোলায়মান নদভি (রহ.) হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভি (রহ.)-এর দরবার থেকে ফেরেন, তখন তাঁর বহু অনুসারী তাঁর ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়। তারা সাইয়েদ সাহেবকে বলে, আমরা আপনার অনুসরণে দলবদ্ধ হয়েছি। আমরা আপনাকে বড় বানিয়েছিলাম। সর্ববিষয়ে আপনি আমাদের ইমাম ছিলেন। এখন আপনিই অন্যের আঁচল ধরেছেন। বিষয়টি আমাদের অবস্থানকে খাটো করেছে। সাইয়েদ সাহেব তাদের বলেন, তারা তো আশ্চর্য লোক! একদিকে তারা আমার অনুসারী দাবি করে, অন্যদিকে আমার ওপর আস্থা রাখে না। অর্থাৎ আমি নিজের উপকার মনে করে সেখানে গিয়েছি আর তারা তার বিরোধিতা করছে। যেন তারা আমার শিক্ষক হয়ে আমাকে উপদেশ দিচ্ছে যে আপনি কোথায় যাচ্ছেন? যেন আমি তাদের জিজ্ঞেস করে সেখানে যাব। আমি তো সেখানেই আমার কল্যাণ দেখছি, অথচ তাদের দাবি তাদের জন্য আমি যেন সেখানে না যাই। তারা তো আমাকে এই সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে আরো উদ্যোগী হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- ‘ঈদের আগেই মুক্ত করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে’
- ঈদে স্বপ্ন বাড়ি যায়নি বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদির, ফিরবে লাশ হয়ে
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, অতঃপর...
- ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪-৫ দিনের মধ্যেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- গাজায় মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়াল, ঘণ্টায় ৪ শিশু মৃত্যু
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবো: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ‘নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত’