• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যেসব শব্দ ব্যবহার করে দোয়া করলে আল্লাহ অপছন্দ করেন

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩  

মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কিছু আদব আছে। যেনতেনভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নয়। এমন কোনো শব্দ সেখানে ব্যবহার করা উচিত নয়, যা আল্লাহ অপছন্দ করেন। রাসুল (সা.) স্বীয় উম্মতদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে কী ধরনের শব্দে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নয়।
ইহকালেই শাস্তি প্রার্থনা করা

অনেকে আবার পরকালীন শাস্তি থেকে বাঁচার আশায় ইহকালেই নিজের শাস্তি কামনা করে। এটা বান্দার ওপর কঠিন বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আল্লাহর কাছে শাস্তির দোয়া না করে; বরং ক্ষমাপ্রার্থনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইহকালে শাস্তির দোয়া করার ভয়াবহতা নিয়ে একটি হাদিস রয়েছে, সেখানে নবীজি (সা.) এক সাহাবিকে এ ধরনের দোয়া করতে নিষেধ করেছেন।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন মুসলিম রোগীকে সেবা করতে গেলেন। সে (অসুখে কাতর হয়ে) অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, এমনকি সে পাখির ছানার মতো হয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেন, তুমি কি কোনো বিষয় প্রার্থনা করছিলে অথবা আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে কিছু চেয়েছিলে? সে বলল, হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ, আপনি পরকালে আমাকে যে সাজা দেবেন তা এই ইহকালেই দিয়ে দিন। সে সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুবহানাল্লাহ, তোমার এমন সামর্থ্য নেই যে তা বহন করবে? অথবা তুমি তা সহ্য করতে পরবে না। তুমি এমনটি বললে না কেন? হে আল্লাহ, আমাদের কল্যাণ দাও পৃথিবীতে এবং কল্যাণ দান করো পরকালেও। আর জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা করো। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তখন তিনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আর আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭২৮)

তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে দান করো

নবীজি (সা.) তার উম্মতদের এ ধরনের বাক্য দ্বারা দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। তাই মুমিনের জন্য দোয়ায় এ ধরনের বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে, সে যেন দৃঢ়তা প্রকাশের সঙ্গে দোয়া করে। আর সে যেন না বলে, ‘হে আল্লাহ, যদি তুমি ইচ্ছা করো, তবে আমাকে দান করো।’ কেননা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য কোনো বাধ্যকারী নেই। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৪)

মৃত্যু কামনা করা

অনেক সময় মানুষ ঋণের বোঝা, বিপদাপদ বা অসুস্থতায় হতাশ হয়ে মহান আল্লাহর কাছে মৃত্যু কামনা করে দোয়া করে বসে, যা একদম উচিত নয়। রাসুল (সা.) তার উম্মতদের কঠিন বিপদেও মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আনাস (রা.)-এর সনদে নবী (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যেন বিপদে পড়ার কারণে মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা না করে। তবে যদি মৃত্যু তার কামনা হয়, তাহলে সে যেন বলে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে জীবিত রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত আমার হায়াত আমার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়ে দিন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৭)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগে যেন মৃত্যুর জন্য দোয়া না করে। কেননা তোমাদের কেউ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিন লোকের বয়স তার কল্যাণই বাড়িয়ে থাকে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭১২)

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –