• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

এবার নয়া দামান গানে সোলাইমান সুখনের নাচ

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২১  

নয়া দামান গান নিয়ে গোতা দেশ এখন মাতোয়ারা। সিলেটের তোসিবা ও প্রবাসী মুজার কণ্ঠে ছড়িয়ে পড়া গান এখন অনেকেই কণ্ঠে তুলছেন। সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকের নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারের অ্যাপ্রন পরে হাসপাতালের করিডরে 'নয়া দামান' গানের সঙ্গে নাচছেন তিন চিকিৎসক। তাদের একজন তরুণ, বাকি দুজন তরুণী।

সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার তুমুল জনপ্রিয় 'নয়া দামান' গানটি অনেকেই গেয়েছেন। তবে তোসিবা ও মুজার গাওয়া গানটি ছায়াছন্দ নামের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের নাচ আপলোড করলেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। গানটি লুফে নেয় এদেশীয় শ্রোতারা। এরপর তা সময়ের ট্রেন্ডে পরিণত হয়। এবার এই ট্রেন্ডে গা ভাসালেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সোলাইমান সুখন। 

ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে জনপ্রিয় এই ব্যক্তি নিজের ফেসবুকে নয়া দামান গানের একটি ভিডিও আপলোড করেন। এরপর হুহু করে তা ছড়িয়ে পড়ে। ভিওডিওতে সোলাইমান সুখনসহ আরো তিনজন ছিলেন যারা একইসঙ্গে গানের সঙ্গে নেচেছেন। ভিডিওতে নানারকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পৌনে ৬ লাখ মানুষ সুখনের ভিডিওটি উপভোগ করেছেন।

এই গানের নতুন করে গাওয়া গানের কণ্ঠশিল্পী ভাটির মেয়ে তসিবা বেগম। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজারের কামারগাঁও গ্রামে জন্ম। বেড়ে উঠা সিলেট নগরীর খাদিম নগর এলাকায়। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তসিবা মেজ। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি আলাদা একটা টান ছিল তার। সেই টান থেকে গান গাওয়া শুরু। বাবা-মা সঙ্গীত প্রিয় হওয়ায় তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাকে।

দীর্ঘদিন পর টিকটক ভিডিওয়ে বাজনা ছাড়া গান ও সিলেটের অঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ভাইরাল হয়ে যান তিনি। সম্প্রতি তার গান শুনে প্রবাসী শিল্পী মুজা যোগাযোগ করেন। পরে দুজন এই গানে কণ্ঠ দেন। কথা ছিল গানটি নিয়ে বড় পরিসরে ভিডিও করার। কিন্তু তার আাগেই গানটি ভাইরাল হয় এক যুবতীর বিয়ের অনুষ্ঠান ও ডাক্তারদের নাচের ভিডিও। বিভিন্ন টিভি ও পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও নাম আসেনি তসিবার। 

আর সোলাইমান সুখনকে চেনেন না এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খুব কমই রয়েছেন। পুরো নাম খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান। তবে তিনি সোলায়মান সুখন নামেই বেশি পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের জীবনসংগ্রামের গল্প শোনান নতুনদের। অনুপ্রেরণা জোগান দেন। বিভিন্ন মঞ্চে কথা বলেন দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়েও।

নেভাল একাডেমির চাকরি ছেড়ে সুখন ঢাকায় এসে উঠেছিলেন বুয়েটের হোস্টেলে। তারপর আইবিএ শেষ করে করপোরেট কম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন। ফেসবুকে সক্রিয় হন ২০০৮ সালে।  প্রথম দিকে  ফানি সব ভিডিও আপলোড দিতেন। খেয়াল করলেন, সাড়া পাচ্ছেন। তারপর নতুন মোবাইল ফোন সেট বা নতুন কোনো ডিভাইসের রিভিউ লিখেছেন। একসময় মনে হলো, চলতি ঘটনার ওপর আলোকপাত করবেন। ওই সময় অনেকেই অনন্ত জলিলকে নিয়ে হাসি-মশকারা করত। তিনি তখন জলিলের পক্ষে কয়েক দফায় লিখলেন। লেখাগুলো ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। বলতে গেলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। একবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেটিও আলোচিত হয়েছিল। সুখন ইউটিউবে চ্যানেল খোলেন ২০০৯ সালে। সেখানে তিনি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যগুলো ভিডিও করে প্রকাশ করেন। দুই কোটি মিনিট দেখা হয়েছে সুখনের ভিডিওচিত্র। 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –