• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

এশিয়ার প্রথম মসজিদ লালমনিরহাটের ‘জামেয়-আস সাহাবা’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২১  

এশিয়ার প্রথম মসজিদ এটি। প্রাচীন নাম ‘হারানো মসজিদ’। মসজিদটিকে বলা হয় ইসলাম প্রচারের প্রাচীনতম নিদর্শন। লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় অবস্থিত মসজিদটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘জামেয়-আস সাহাবা’। রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান।

জানা গেছে, বহু বছর ওই এলাকার একটি জঙ্গলে গাছ-লতাপাতায় ঢাকা ছিল মসজিদটি। ৬৯ হিজরি সালে নির্মিত মসজিদটির কেবল ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট আছে। অন্য কোনো নিদর্শন না থাকায় স্থানীয়দের কাছে এটি ‘হারানো মসজিদ’ নামেই পরিচিত।

মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া একটি ইটে স্পষ্ট আরবি হরফে লেখা কালেমা তাইয়্যেবা ও ৬৯ হিজরি সাল। স্থানীয় প্রবীণদের ধারণা- মসজিদটি ৬৯ হিজরী অর্থাৎ ইংরেজি ৬৮৯-৬৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যায় মসজিদটি, জংলি গাছ-লতাপাতায় ঢাকা পড়ে যায় ধ্বংসাবশেষ।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৭ সালে রামদাস গ্রামে মসতের আড়া নামক একটি মাটির ঢিবি কেটে সমতল করা হয়। ওই সময় প্রাচীন এ মসজিদের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান জমির মালিক আব্দুল গফুর। পরে সেখান থেকে ইট ওঠানো বাদ দিয়ে মাটি সরাতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট, চারটি মিনার ও এক গুম্বুজ সম্বলিত মসজিদের ভিত্তি দৃশ্যমান হয়। যার দেয়ালের পুরুত্ব ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। এছাড়া সেখানে হারিয়ে যাওয়া মসজিদের ধ্বংসস্তুপ থেকে কারুকার্যমণ্ডিত ইট ও গম্বুজের চূড়া পাওয়া গেছে।

তারা আরো জানান, ১৯৮৭ সালে মসজিদটি পুনরুদ্ধারের পর থেকেই সেখানে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। প্রাচীন এ মসজিদ দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে আসেন। বর্তমানে প্রাচীন এ মসজিদের ধ্বংসাবশেষ ঘিরে একটি সুদৃশ্য মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণের কাজ চলছে।

আবদার রহমান নামে স্থানীয় একজন বলেন, কিছুদিন আগেও এখানে জঙ্গলের বিরাট স্তুপ ছিল। জঙ্গল কেটে এই ‘হারানো মসজিদ’ আবিষ্কারের কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ মসজিদটি দেখতে আসে। অনেকে এখানে মিলাদ-মাহফিলের আয়েজনও করে।

মসজিদের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, কবে এ মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল তা আমাদের জানা নেই। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এই মসজিদটি আবিষ্কারের পর এখানে মাদরাসা ও লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, লোকমুখে শুনেছি ৬৯ হিজরি সালেরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমি এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই মসজিদটি নতুন করে সাজানোর চেষ্টা করছি। জুমার নামাজে মসজিদের ভেতরে জায়গার সংকুলান হয় না। এ কারণে মসজিদটির পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে। আগামীতে আরো কাজ হবে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –