করোনা: বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপর্যয় কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে কর্মচাঞ্চল্য। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের হাতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী চলমান কভিডের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া অর্থনীতির খাতগুলো আবারও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। স্থবির হয়ে পড়া শিল্প-কারখানার চাকা ঘুরছে। বাড়ছে উৎপাদনও। এ ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও দ্রুত নেওয়া কৌশলগুলো বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
করোনাভাইরাস আতঙ্ক কাটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। জমে ওঠার অপেক্ষায় এখন ব্যবসা-বাণিজ্য। গতি ফিরছে রপ্তানি খাতেও। ব্যাংকগুলোতে আমদানি-রপ্তানির এলসি খোলার হারও বাড়তে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহে সৃষ্টি হয়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পোশাকশিল্প খাতের কারখানাগুলোও প্রায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। এ খাতের স্থগিত হওয়া অর্ডারগুলো ফিরে আসার সঙ্গে নতুন নতুন অর্ডারও আসতে শুরু করেছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন করে গতির সঞ্চার হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তবে বৈদেশিক ও দেশীয় শ্রমবাজারের উন্নয়ন এবং তা পুনরুদ্ধারে আরও কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের রপ্তানি ও শ্রমবাজার পুনর্গঠনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বৈদেশিক মিশনগুলোর। এ ছাড়া প্রবাসী শ্রমিক যারা দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের ফেরত পাঠাতে না পারলে স্থানীয়ভাবে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য ফিরে আসা প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সরকারের সহায়তায় একটি ঋণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার একটা ইতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিড-১৯ আতঙ্ক কিছুটা কেটে গেছে। তবে জনমনে অস্বস্তি এখনো কাটেনি। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও কমছে না। অবশ্য বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের একই অবস্থা। এরপরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে প্রায় সব রকমের অর্থনৈতিক কর্মকা-। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আকাশপথও চালু করছে দেশগুলো। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। অভ্যন্তরীণ রুটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোও ধীরে ধীরে খোলা হচ্ছে। ফলে গতি ফিরছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুই খুলতে শুরু করেছে। অর্থনীতি বাঁচাতে ও পর্যটক বাড়াতে দেশে দেশে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে এ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশ পুরোপুরি লকডাউনে নেই। তবে লকডাউন শিথিলের পর করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, ভারত আর ইরানের মতো দেশগুলো কিছু অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন আরোপ করছে। করোনার প্রকোপ সামলাতে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার শুরু হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত। খুলে দেওয়া হয়েছে যানবাহন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে পর্যটন এলাকা থেকে। ফলে আবার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে অর্থনীতি। জমে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, প্রথমত জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ কাজে যাচ্ছে। অর্থনীতির স্বার্থে খোলা হয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা। সামগ্রিক অর্থনীতিতে আবারও আশার সঞ্চার শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে বলা যায় মে-জুন পর্যন্ত পুরো অর্থনীতিই বিপর্যস্ত ছিল। এখন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সচল হচ্ছে। তবে পুরো অর্থনীতি আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থানে যেতে আরও সময়ের প্রয়োজন হবে বলে তিনি মনে করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, মানুষ এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবু সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে অর্থনীতির স্বার্থেই। রপ্তানি খাতের অবস্থাও কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এখানো আরও অনেক কাজ করতে হবে। রপ্তানি খাতটাকে বহুমুখীকরণ করার এটাই উপযুক্ত সময়। কেননা কভিড-পরবর্তী পৃথিবী হবে নতুন রকমের একটা পৃথিবী। সেখানে নতুন বহু ধরনের চাহিদার সৃষ্টি হবে। ফলে নতুন করে বৈদেশিক শ্রমবাজার ও রপ্তানিবাজার ধরতে হলে সঠিকভাবে সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আকাশপথও খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশ যোগাযোগও বন্ধ করা হয়েছিল। সেটাও সচল করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও চালু হয়েছে আকাশপথের যোগাযোগ। ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও চালু হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার হার বাড়তে শুরু করেছে। তবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির খরা কাটেনি। এ রকম দু-একটি এলসি নিষ্পত্তি হলেও নতুন করে কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে কম। আশা করা হচ্ছে ধীরে ধীরে আবার নতুন নতুন শিল্প স্থাপন শুরু হলে কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার হারও বাড়বে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় এপ্রিলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় তলানিতে নেমেছিল। বিধিনিষেধ শিথিলের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সুবাদে মে মাসে রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়ে এবং জুনে সেটা লাফিয়ে বাড়ে। এমনকি নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। ইপিবির তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এদিকে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি খরা কেটেছে আমদানি খাতের।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য পাটবীজ ও সার বিতরণ
- বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ির আঙিনায় গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার ১
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- নামাজের সময়সূচি: ৬ মার্চ ২০২৪
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- ঈদযাত্রা: ৩ ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের সাড়ে ১২ হাজার টিকিট বিক্রি
- তারবিহীন ব্রডব্যান্ড চালু করবে মোবাইল অপারেটররা
- ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা
- ৬ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর
- পঞ্চগড়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- ‘জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে কোনো রক্তক্ষয়ী অভিযান নয়’
- ‘ঈদের আগেই মুক্ত করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে’
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- হরিপুরে ভূমিতে দ্বন্দ্ব ও দ্বন্দ্বের রূপান্তর বিষয়ক সেমিনার
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- কেমন যাচ্ছে সংসার, জানালেন রকুল
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
- কয়েক বছরে হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট করা হয়েছে: ডিবি
- নামাজের সময়সূচি: ৭ মার্চ ২০২৪
- গাজা যুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল: ইইউ
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়