• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলঢাকায় ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর, পরিবারের দাবি হত্যা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২১  

নীলফামারীর জলঢাকায় প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মারা গেছেন রুবাইয়া ইয়াসমিন (রিমু) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী। তবে তার মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে পাশের গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে রিমুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই যুবক।

নিহত রিমু কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মানুষমারা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১ মার্চ) সকালে সীমান্তবর্তী জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের টেঙ্গনমারীতে কোচিং সেন্টারে পড়তে যান রিমু। এ সময় রিমুর পূর্বপরিচিত কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোটরসাইকেল নিয়ে ওই কোচিং সেন্টারের সামনে যান এবং সেখান থেকে রিমুকে তুলে নিয়ে তিস্তা ব্যারাজের দিকে রওনা হন৷

সকাল পৌনে নয়টার দিকে জলঢাকা উপজেলার রাজারহাট নামক স্থানে একটি ট্রলিকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন রিমু।

আহত অবস্থায় তাকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা রংপুুুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিমু। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ রেখে চলে যান ফয়সাল।

সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নিহত রিমুর বড় ভাই আরিফুজ্জামান ইমন মুঠোফোনে বলেন, ‌‘সকালে কোচিং সেন্টারে গেলে সেখান থেকে ফয়সাল জোরপূর্বক রিমুকে তুলে নিয়ে যায় বলে তার বান্ধবীরা জানিয়েছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে দুর্ঘটনা হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে।’

রিমুর লাশ রংপুুুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জলঢাকা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ইমন।

কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ বলেন, ‘ফয়সালের সঙ্গে নিহত রিমুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে লোকমুখে জানতে পেরেছি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি অন্য কিছু তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। নিহতের বাড়ি নীলফামারী সদর থানায় হলেও ঘটনা জলঢাকা থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানকার পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’

রাত সাড়ে ১১টার দিকে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘নিহত রিমুর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –