• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বিল সংশোধন করে বকেয়া আদায়ে ৬ পদক্ষেপ

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০  

বিদ্যুতের ‘ত্রুটিপূর্ণ বিল’ দ্রুত সংশোধন করে মহামারীকালে বকেয়া হওয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে ছয় দফা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার সংসদে চট্টগ্রাম-৩ আসনের এমপি মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব পদক্ষেপের কথা জানান।

তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর লক-ভাউন কার্যকর করায় গ্রাহকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আবাসিক গ্রাহকদের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল সারচার্জ ছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। এই সময়ে ‘অধিকাংশ’ গ্রাহক বিল পরিশোধ থেকে বিরত থাকায় বিপুল পরিমাণ বকেয়া তৈরি হয়েছে।

বকেয়া বিল আদায়ে যেসব কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের ইউনিট একত্র করে একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল না করা; মাসভিত্তিক পৃথক পৃথক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা; একসঙ্গে অধিক ইউনিটের বিল করে উচ্চ ট্যারিফ চার্জ না করা; ত্রুটিপূর্ণ বা অতিরিক্ত বিল দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করা; ২০২০ সালের মে মাসের বিদ্যুৎ বিল (যা জুন মাসে তৈরি হচ্ছে) মিটার দেখে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা এবং মোবাইল, বিকাশ, জি-পে, রবিক্যাশ, অনলাইনে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখে অনুমানভিত্তিক বিল দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ, তাতে অনেকে বড় অংকের বিল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

সে সময় ওই বিল নিয়ে গ্রাহকদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ ‘মাত্রাতিরিক্ত বিলে গ্রাহক ভোগান্তি সৃষ্টিকারী’ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে সাত দিনের মধ্যে শাস্তি দেওয়ারও ঘোষণা দেয়।  

সরকারি দলের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে ২০টি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

“বাকি ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে প্রসেস প্লান স্থাপন করে ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোরল করা যাবে। রূপগঞ্জ ও সাঙ্গু ক্ষেত্রের গ্যাস নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় উত্তোলন বন্ধ বয়েছে। অবশিষ্ট চারটি ক্ষেত্রের সীমিত গ্যাস মজুদ, কমার্শিয়াল ভায়াবিলিটি, আইনগত জটিলতা- ইত্যাদি বিবেচনায় গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি পুনঃমূল্যায়ন প্রয়োজন।”

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৫ সাল থেকে গত ৫ বছরে ২৫টি নতুন গ্যাস কূপ খনন করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ভোলা নর্থ ক্ষেত্রে একটি, কসবায় একটি, মোবারকপুরে একটি, রূপগঞ্জে একটি, সালদা নর্থে একটি, সেমুতাং ইস্টে একটি, শ্রীকাইলে দুটি, ম্যাগনামায় একটি, তিতাসে চারটি, বাখরাবাদে একটি, কৈলাশটিলায় দশটি, রশিদপুরে তিনটি, সালদানদীতে একটি, শাহবাজপুর ইস্টে একটি, সুন্দলপুর শাহবাজপুরে একটি, জালালাবাদে তিনটি এবং বাঙ্গুরায় একটি।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –