• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

যে চার্চে বাইবেলের বদলে পড়ানো হয় ম্যরাডোনার আত্মজীবনী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০  

দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ফুটবল ভক্তদের কাছে একটা আবেগের নাম। কিংবদন্তি, নায়ক, ফুটবলের ব্যাড বয়... কোনো একটা সংজ্ঞায় বাঁধা যেত না সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার মানুষটাকে। মৃত্যুর অনেক আগে থেকেই এই কিংবদন্তিকে আর্জেন্টাইনরা ‘ফুটবল ঈশ্বর’ই ভাবতেন। জীবন্ত ম্যারাডোনাকে তারা মনে-প্রাণে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন। আর্জেন্টাইনদের মনে ম্যারাডোনার অবস্থানটি কোন স্থানে, তার এক ব্যতিক্রম উদাহরণ হচ্ছে ম্যারাডোনাইয়ান চার্চ। চার্চটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে ম্যারাডোনার ৩৮তম জন্মদিনে।

চার্চটি আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের শহর রোজারিওতে। এখানে ভক্তরা ১০ নম্বর জার্সি পরে। বাইবেলকে সরিয়ে সেখানে পড়ানো হয় ম্যারাডোনার আত্মজীবনী। সারা বিশ্বে দুই লাখ ভক্তসংখ্যা এই চার্চের।

চার্চের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার আলেজান্দ্রো ভেরন। তিনি তার স্মৃতিচারণে বলেন, একবার ২৯ অক্টোবর মাঝরাতে একটা ফোন পান ভেরন। ট্রাস্টি বোর্ডের এক সদস্যই তাকে ফোন করে বলেন, ‘মেরি ক্রিসমাস’। ভেরন বলেন, ‘মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি তোমার? আজ তো সবে ৩০ অক্টোবরে পড়লাম।’

ফোনকারী অবিচলিত, ‘ঠিক তাই। আমাদের যিশু তো ৩০ অক্টোবরই জন্মেছেন।’ এ থেকেই অনুমান করা যায় আর্জেন্টিনার জনমনে কেমন ছিল ম্যারাডোনার অবস্থান।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ বসল মেক্সিকোতে। শতাব্দীর সব চেয়ে নিন্দিত এবং প্রশংসিত দু’টি গোলই সে বার করলেন ম্যারাডোনা এবং একই ম্যাচে। বছর চারেক আগেই ফকল্যান্ড যুদ্ধে ইংল্যান্ডের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে আর্জেন্টিনা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে যেন সেই যুদ্ধের উত্তাপ। পিটার শিল্টনের মাথার উপর দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন ম্যারাডোনা। সবাই বলল হ্যান্ড বল, ম্যারাডোনা হেসে বললেন ‘হ্যান্ড অব গড’। পরের গোলটা যেন ম্যাজিকের মতো। ছ’জন ইংরেজ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে রাজপুত্র গোল করলেন। শতাব্দীর সেরা গোলের স্বীকৃতি পেল সেই গোল। ফাইনালে ৩-২ গোলে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনা পেলেন সোনার বুট। হয়ে উঠলেন ফুটবল কিংবদন্তি।

ম্যারাডোনার ভাষায়, প্রথম গোলটিকে আমি ‘ঈশ্বরের হাত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলাম। কেন করেছিলাম তার ব্যাখ্যায় যাচ্ছি। ব্যাখ্যাটা খুবই সরল। ঈশ্বরই তো আমাদের হাত দিয়েছেন। আর আমি ঈশ্বর-প্রদত্ত ওই হাত ব্যবহার করেই গোলটা করেছিলাম। ওটা ঈশ্বরের হাতের গোল নয় তো কী!

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –