• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সরকারের হস্তক্ষেপে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২০  

টানা দুই সপ্তাহ অস্থিরতা চলার পর সরকারের হস্তক্ষেপে অবশেষে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ কমসহ নানা অজুহাত দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে এখনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আলু ব্যবসায়ী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ আলুর দাম দ্বিগুণ বেড়ে ৬০ টাকায় ওঠে। পরে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা বেঁধে দেয়। তবে তা কার্যকর করতে পারেনি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) আবারো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। এবার দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। এরপর থেকে বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়তে থাকায় দামও কমছে। তবে এখনো খুচরা বাজারে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে ৭ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকা‌রি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৩-৪ দিনের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এখন সরবরাহ ভালো, এটা অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমে যাবে।

রাজধানী কারওয়ান বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আজকে বাজারের সবচেয়ে ভালো মানের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। এছাড়া মান অনুযায়ী ৩০ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোল্ড স্টোরগুলো এখন আলু ছাড়ছে। গতকাল থেকে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এটা অব্যাহত থাকলে সামনে দাম আরো কমে যাবে।’

এদিকে মুগদার খুচরা ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, আলুর দাম কমেছে। তবে মিডিয়ায় যেভাবে শুনছি আলুর দাম ৩৫ টাকায় নেমে যাবে। বাস্তবে দাম এত কমেনি।

তিনি বলেন, ‘আজকে আলু বিক্রি করছি ৪২ টাকায়। আর বাছাই আলু বিক্রি করছে হচ্ছে ৪৪ টাকায়। যেহেতু পাইকারি বাজারে দাম কমছে দু-একদিনে খুচরা বাজারে দাম আরও কমে যাবে।’

মুগদা কাঁচাবাজারে আসা আবুল বাশার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আলু প্রতিদিনই লাগে। প্রতিবছরই এই সময় আলুর দাম একটু বাড়ে কিন্তু ৬০ টাকা জীবনে কখনও দেখিনি, শুনিওনি। গত পরশু খবরে দেখলাম, সরকার আলুর দাম পুনর্নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু আজকেও বাজারে এক কেজি আলু কিনলাম ৪৪ টাকা দিয়ে। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো মুনাফা লুটে, যার বলি সবসময় হয় ক্রেতারা। ৬০ টাকা আলু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে‌ছে। তা‌দের কিছুই হয়নি।’

এদি‌কে গত মঙ্গলবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। ওইদিন খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদফতরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, কারওয়ান বাজার এবং শ্যামবাজারের আলুর পাইকার ও আড়তদাররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –