• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সুশান্তের যৌন হেনস্তা বিষয়ে যা বললেন স্বস্তিকা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০  

করোনার কারণে সিনেমা হল বন্ধ থাকায় সম্প্রতি অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি এই ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পরই অভিনেতার নামে তার ছবির নায়িকা সঞ্জনা সাংঘিকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল।

ছবি মুক্তির পর সে বিষয় নিয়ে কথা বললেন ওই ছবিরই আরেক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। ‘দিল বেচারা’য় তিনি নায়িকা সঞ্জনা সাংঘির মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করেছি। সঞ্জনার মায়ের চরিত্রে। বেশির ভাগ দৃশ্য ছিল সঞ্জনার সঙ্গেই। ওর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে চোখে পড়ত না! আর সুশান্ত যৌন হেনস্তা করবে ওর নায়িকাকে? যারা মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন, এসব তাদের অপপ্রচার।’

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুশান্তের কেরিয়ারের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’ মুক্তির পর প্রয়াত অভিনেতাকে এভাবেই তার ক্যারেকটার সার্টিফিকেটে একশোতে একশো নম্বর দিলেন কলকাতার হট সেনসেশন নায়িকা স্বস্তিকা মুখার্জী। যদিও এই প্রশংসা দেখে বা শুনে যেতে পারলেন না সুশান্ত।

২০১৮ সালে যখন সুশান্তর নামে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল, তাকে ‘স্কার্ট চেজার’ বলে ডাকা হচ্ছিল, সে সময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সঞ্জনার সঙ্গে তার যাবতীয় হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনেন নায়ক। অনুরোধ করেছিলেন, মিথ্যা অপবাদে দোষী করে তার কেরিয়ার যেন ধ্বংস করে না দেয়া হয়।

সেই রটনাকে নস্যাৎ করার পাশাপাশি অভিনেত্রী স্বস্তিকা এও বলেন, ‘ছবিতে মৃত্যুর কথা থাকলেও টিম স্পিরিট কিন্তু সব সময় পজিটিভ ছিল। শুধু সুশান্ত কেন, ‘দিল বেচারা’ টিমের কেউই কারও সঙ্গে কোনো রকম খারাপ ব্যবহার করেননি।’

আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিনেত্রীর দাবি, ‘একজন মেয়ের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সব সময়েই পুরুষের তুলনায় বেশি সজাগ। তাই সঞ্জনা যদি কিছু লুকিয়েও যেত, ঠিকই ধরা পড়ত তার চোখে। কারণ, রাতের খাওয়াটাও সঞ্জনা এবং আমি একসঙ্গে সারতাম।

অবশ্য সঞ্জনাও পরে মুখ খুলেছিলেন সুশান্তের হয়ে। বলেছিলেন, ‘সুশান্তের মতো মানুষ যৌন হেনস্থা করতে পারেন না। শুটিং সেটে সব সময়ই আমি ওনার থেকে সাহায্য পেয়েছি। শট দেয়ার সময় একবার আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। সুশান্ত তখনই পরিচালককে বলে শুটিং সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিলেন।’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –