শত বছরের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিতে ডুবল রংপুর
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
দেশের উত্তরাঞ্চলে আগের বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে পানি ওঠায় এমনিতেই দিশাহারা মানুষ। এর ওপর টানা বৃষ্টি বন্যার্তদের দুর্ভোগ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে অব্যাহত বর্ষণে শ্রমজীবীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুরে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গত শনিবার রাতে। এতে নগরেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে রেকর্ড ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত—
ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন, সুক ও সেনুয়ার পানি বৃদ্ধি: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন, সুক ও সেনুয়া নদীর পানি বেড়েছে। এতে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। বাড়িঘরে পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। অব্যাহত বর্ষণে শ্রমজীবীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। সরকারি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে তারা; যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
পৌর শহরের টাঙ্গন নদের ধারের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা আল আমিন জানান, তাঁদের এলাকাটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে পড়ে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন তাঁরা। একই এলাকার মোহাম্মদ সুমন জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী গোবিন্দনগর গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে রেখে এসেছেন। কাজে যেতে না পারায় খুব কষ্টে রয়েছেন।
নীলফামারীতে কমছে তিস্তার পানি: বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও নীলফামারীতে কমেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপত্সীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই পয়েন্টে নদীর পানিপ্রবাহ ছিল বিপত্সীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তায় পানি বাড়ায় বৃহস্পতিবার জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরাঞ্চলের ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রংপুরে: এক রাতের বৃষ্টিতে যেন মহাপ্লাবন হয়েছে রংপুরে। মহানগরীসহ জেলার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় নগরীর প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে। ১০০ বছরের মধ্যে এমন বৃষ্টি হয়নি বলে জানাচ্ছে রংপুর আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৯১০ সালের দিকে রংপুরে এমন প্রবল বর্ষণ হয়েছিল। ১১০ বছর পরে আবার এমন বর্ষণ হলো। বৃষ্টি আরো দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। নগরবাসীও বলছে, তারা এমন বৃষ্টিপাত দেখেনি। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায়ও এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি।
নগরীর বেশির ভাগ সড়ক তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকায় কোমরসমান পানি জমেছে। অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। হনুমানতলা এলাকার গৃহিণী নুরজাহান বেগম জানান, তাঁর ঘরে পানি ঢোকায় সারা রাত নির্ঘুম কেটেছে। গত শনিবার রাতে রান্না করতে না পাড়ায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন। কেরানিপাড়ার শতবর্ষী আবু মিয়া জানান, তিনি তাঁর জীবদ্দশায় এমন বৃষ্টিপাত হতে দেখেননি।
কুকরুল বিল, চিকলি বিলসহ অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গতকাল সকালে নগরীর রাস্তায় অনেককে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। দুপুর ১টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শ্রমজীবী মানুষ কাজ না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র ও কাউন্সিলররা এলাকা ভাগ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নগরীর সেনপাড়া, মুলাটোল, রাধাবল্লভসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানিবন্দি লোকজনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে আশ্রিত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে রেকর্ড বৃষ্টিপাত : কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপত্সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। নদী অববাহিকার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপা আমন ধান ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই ফের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির কবলে পড়েছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এক মাসের ব্যবধানে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বজরা, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, থেতরাই, দলদলিয়া ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের ছয় শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল জলজট। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ডেনেজ ব্যবস্থা অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন
- এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস
- রাতারাতি ভাইরাল পিয়া জান্নাতুল, কী বলছেন তিনি
- টানা ৪ মাসে হাতে লিখলেন কোরআন
- তীব্র দাবদাহে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’
- থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে: ধর্মমন্ত্রী
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ
- তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ল আরো ৭২ ঘণ্টা
- পীরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিদায় ও বরণ সভা
- পীরগঞ্জে জনপ্রতিনিধিদের মিলন মেলা
- ‘গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবে ছাত্রলীগ’
- ‘এ’ ইউনিট দিয়ে আজ শুরু ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- নামিরার বাজিমাত
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- থাই গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- ভাঙলো ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড
- মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দুর্ঘটনার কবলে ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী
- আবাসনের সুযোগ দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ: গণপূর্তমন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে আরো উদ্যোগী হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- ঈদে স্বপ্ন বাড়ি যায়নি বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদির, ফিরবে লাশ হয়ে
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, অতঃপর...
- ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪-৫ দিনের মধ্যেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- গাজায় মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়াল, ঘণ্টায় ৪ শিশু মৃত্যু
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবো: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- থাই গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ‘নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত’
- মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের বিষয়টি জানে না সরকার: ওবায়দুল কাদের