• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আমন মৌসুমে গঙ্গাচড়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা জরুরী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২১  

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গঙ্গাচড়ায় আমন মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এতে শতাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উত্পাদন কমছে। কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিমইচলি ও বিনবিনা এলাকায় তিস্তার পানি প্রবেশ করায় এ বছর প্রায় ৪০০ একর আবাদি জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তিস্তার পানি প্রবেশ করলেও বের হচ্ছে না।

বিনবিনা এলাকার কৃষক দুলু মুন্সি জানান, গত কয়েক বছর থেকে আমন আবাদ হলেও এ বছর বাঁধ ভেঙে তিস্তার পানি প্রবেশ করায় আমন আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই এলাকার এরশাদুল এখনো ১২ বিঘা জমির ধান লাগাতে পারেননি। ঐ জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে কৃষকরা সংসার চালান। দুই-একজন ধান লাগালেও পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য নুরন্নবী ভুট্টু বলেন, এ বছর প্রায় ৪০০ একর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকে এখনো ধান লাগাতে পারেনি।

পশ্চিমইচলি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, চরইচলি এলাকায় একটি বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পশ্চিমইচলি এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। যার কারণে লোকজন এখনো আমন ধান লাগাতে পারেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এখনই আমন লাগানোর উপযুক্ত সময়। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে না লাগালে ধান লাগানোর প্রয়োজন নেই। তখন কৃষকরা আগাম অন্য ফসল করতে পারবে। তবে তিনি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যা থাকার আশঙ্কা করছেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –