• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ভারতীয় ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে: আইইডিসিআর

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১  

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের কারণেই দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। রোববার সন্ধ্যায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

আইইডিসিআর জানায়, দেশে সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ডেল্টা ধরন (ভারতীয় ধরন) বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে। দেশে ভারতীয় ধরনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে আরেকটি অজানা ধরনও শনাক্ত হয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফলে দেখা গেছে, ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টি ডেল্টা ধরন অর্থাৎ ভারতীয় ধরন, যেটা বি.১.৬১৭.২ নামে পরিচিত।

সাউথ আফ্রিকান বা বিটা ধরন রয়েছে আটটি (১৬ শতাংশ), একটি সার্কুলেটিং ও আরেকটি ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে আন-আইডেন্টিফাইড ( বি.১.১.৩১৮) ধরন।

ডেল্টা ধরনে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ১৪ জন রোগীর (৩৫ শতাংশ) বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণের অথবা বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস নেই। আর এ কারণেই বাংলাদেশে করোনার ডেল্টা ধরনের কমিউনিটি সংক্রমণ বিদ্যমান বলে আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

যাদের মধ্যে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে তিনজনের (৭ শতাংশ) বয়স ১০ বছরের নিচে, সাতজনের (১৮ শতাংশ) বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের (২৫ শতাংশ) বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, আটজনের (২০ শতাংশ) বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, আটজনের (২০ শতাংশ) বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং চারজনের (১০ শতাংশ) বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে। তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ।

আইইডিসিআর জানায়, আইইডিসিআর উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে আক্রান্ত রোগীর কেস ইনভেস্টিগেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সন্দেহজনক রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগৃহীত ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত সাত নমুনার সবগুলোতে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।

খুলনা শহর থেকে সংগ্রহ করা তিনটি নমুনার মধ্যে সবগুলোতে আর ঢাকা শহরের চারটি নমুনার মধ্যে দুটিতে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি মিলেছে।

আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থেকে আসা সাতজনের নমুনায় ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ভারত থেকে আসা ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার আরো তিন অধিবাসী চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় চিকিৎসাধীন আছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রথম ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন (ভারতীয় ধরন) উদ্বেগজনক। মঙ্গলবার সংস্থাটি জানায়, প্রাণঘাতী করোনার এ ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক। এমনকি এটি টিকার সুরক্ষা কবচকেও ভাঙার ক্ষমতা রাখে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –