রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়া এ অঞ্চলে শান্তি ফিরবে না
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২১
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয়) শান্তি ফিরবে না বলে অভিমত দিয়েছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তাঁর বিশ্বাস, অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের চিত্র বদলে যাবে। এ ছাড়া কভিড মোকাবেলায় জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরো টিকা সহায়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ে কথা বলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আগামী মাসে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাপান থেকে বাংলাদেশে টিকা আসতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা বলা খুব কঠিন। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাপান মিয়ানমারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা অব্যাহত রাখবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জাপান মিয়ানমারকে সরাসরি চাপ দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম দেশের এই রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের একাংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরে বাংলাদেশের চেষ্টা সফল হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইতো নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তবে তিনি এ-ও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ থাকা জরুরি। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাপান ১৫ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া সহজ করতে মিয়ানমারের রাখাইনেও তাঁর দেশ ছয় কোটি ৪০ ডলার সহায়তা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের কভিড ব্যবস্থাপনাকে বাংলাদেশের চমৎকার সাফল্য বলে উল্লেখ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই চমৎকার এক অর্জন। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টা ও অর্জন চমৎকার।’
জাপান বাংলাদেশে ৩০ লাখ ডোজেরও বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ওই টিকাগুলো ভালোভাবেই এ দেশের কাজে লেগেছে। কভিড সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরো সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশে বড় পরিসরে জাপানের বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটবে। এর ফলে এ দেশের অবকাঠামোর চিত্র অনেক বদলে যাবে। চলমান জাপানি প্রকল্পগুলো নিয়ে তিনি বলেন, মাতারবাড়ী শুধু বাংলাদেশের নয়, এ অঞ্চলের স্বপ্ন। এটি এ অঞ্চলের অন্যতম ‘পাওয়ার হাব’ (শক্তির কেন্দ্র) হিসেবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেশির ভাগ বড় প্রকল্পে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জাপানের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বেশি সময় লাগে। কিন্তু সব সময় উন্নত মানের কাজ হয়। প্রকল্পের সময়, বাজেট এবং গুণগত মান রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রদূত নাওকি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে জাপানি সরাসরি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাস্তবধর্মী সহযোগিতা বাড়াব।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, জাপান এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে।
বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর পেছনে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকা এবং সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে।
ইতো নাওকি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে (জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে) শতাধিক জাপানি কম্পানি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য যে কারো কাছ থেকেই ঋণ নিতে পারে। তবে তা যেন টেকসই ও স্বচ্ছ হয় এবং বাংলাদেশের কাজে লাগে তা বিবেচনা করা উচিত।
ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে আরো উদ্যোগী হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- ‘ঈদের আগেই মুক্ত করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে’
- ঈদে স্বপ্ন বাড়ি যায়নি বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদির, ফিরবে লাশ হয়ে
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, অতঃপর...
- ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪-৫ দিনের মধ্যেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- গাজায় মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়াল, ঘণ্টায় ৪ শিশু মৃত্যু
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবো: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ‘নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত’