• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘জুমার নামাজ শেষে শিন্নি পাওয়া অনেক আনন্দের’ 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২  

সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার শিশুদের মাঝে দেখা যায় আলাদা এক অনুভূতি। জুমার নামাজ শেষে তারা শিন্নি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। নামাজ শেষে হাতে শিন্নি পাওয়াটাই যেন তাদের ঈদের আনন্দের মতো। গ্রামের মসজিদগুলোয় এই চিত্র আগে অহরহ দেখা গেলেও এখনো অনেক জায়গায় দেখা মেলে।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নে উদয়পুর জামে মসজিদ অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশের রাস্তায় রয়েছে খেলার জায়গা। এখানে এসে শিশুরা খেলা করে। অপেক্ষা করে কখন কেউ কোনো তবারক বা শিন্নি আনে কি না।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) বশির উদ্দিনের ছেলে লাবিব হাসান দলবেঁধে আসে সেখানে। পাঁচ বছর বয়সী লাবিব সমবয়সী ছেলে-মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়। তার কথামতো বিভিন্ন মসজিদে যায় সবাই। তার নেতৃত্বে সবাই খেলাধুলা করছে। পাশাপাশি তাদের সবার লক্ষ, কেউ মসজিদে শিন্নি নিয়ে আসে কি না।

স্থানীয় শিক্ষক আবু জাফর বলেন, এরা যেভাবে মসজিদের তবারক নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে, আমিও একসময় থেকেছি। শৈশবের সেই দিনগুলো অনেক ভালো ছিল। সেগুলো এদের দেখলে আজ খুব অনুভব করি। আমাদের সময়ও আমরা দলবদ্ধ হয়ে শিন্নি নেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করতাম। দুপুরে বাসায় ভালো খাবার থাকলেও মসজিদের শিন্নি ছিল অন্য রকম এক খাবার। আবার অভাবের কারণেও অনেক শিশু আসে একটু খাওয়ার জন্য।

মসজিদের মুসল্লি আব্বাস আলী বলেন, বাচ্চাদের এমন অপেক্ষা আসলে একটি তৃপ্তির বিষয়। আমরাও ছোটবেলা মসজিদের শিন্নি নিতাম। এভাবে শিন্নি খাওয়াতে বাচ্চারা আলাদা আনন্দ অনুভব করে।

মসজিদের ইমাম মাওলানা শোয়েব আহমেদ বলেন, আমাদের মসজিদে প্রায় শুক্রবার মিলাদ হয়ে থাকে। আর মিলাদের সময় বাচ্চারা তবারক নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। আলাদা জায়গার ভালো খাবারের চেয়ে এই তবারকে আলাদা একরকম তৃপ্তি পায় তারা। আসলে মসজিদের এই তবারক অনেক সুমিষ্ট হয়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –