পীরগঞ্জে চোরের কামড়ে দুই নারী হাসপাতালে

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অটোরিকশার ব্যাটারি চোর ধরতে গিয়ে দুই নারী রক্তাক্তভাবে জখম হয়েছেন। তাদের দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার গোদাগাড়ী সিন্দুর্ণা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক চোরকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটক রাখা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের গোদাগাড়ী গ্রামের হানিফার ছেলে মামুন (২৫) একই এলাকার সিন্দুর্ণা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যানের ব্যাটারি চুরি করতে আসেন। এ সময় আনোয়ারের মেয়ে অনামিকা বাড়ির উঠানে থাকা ওই রিকশা ভ্যানের ব্যাটারি খোলার শব্দ শুনতে পান। জানালার ফাঁক দিয়ে চোরকে দেখতে পেয়ে তার মা জেসমিনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। আনোয়ার বাড়িতে না থাকায় মা ও মেয়ে ঘর থেকে বের হলে মামুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

পালানোর সময় বাড়ির বেড়ার সঙ্গে চোর মামুন আটকা পড়লে তাকে জাপটে ধরেন তারা। মামুন তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মা ও মেয়েকে এলোপাথাড়ি কিষ, ঘুষি চড় থাপ্পর মারেন। এরপরেও ছেড়ে না দেওয়ায় মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড় দিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করেন মামুন।

তখন মা-মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের রক্ষা করে মামুনকে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মামুনকে আটক করে সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা মহিলা ওয়ার্ডের ১২ ও ১৩ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহমান সোহান জানান, ওই দুই নারীর শরীরের কয়েক স্থানে কামড়ের দাগ রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভয়ের কোনো কারণ নাই।

এ বিষয়ে সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, তিনি উপজেলায় মিটিং এ ছিলেন। এ জন্য বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন। তাছাড়া ভুক্তভোগী পরিচারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করলে চোরকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।