সত্যের সাধক এম এ ওয়াজেদ মিয়া
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৯ মে ২০২২
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম সুধা মিয়া। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ১৯৫৮ সালে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী সরকারি কলেজে।
১৯৬০ সালে এই কলেজ থেকে তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে এমএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান। ১৯৬১-৬৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিতে সম্মানিত হন। তাঁর গবেষণা-অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল হাই এনার্জি নিউক্লিয়ার ফিজিকস; গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সেকালের বিখ্যাত পদার্থবিদ অধ্যাপক ই জে স্কয়ারস।
১৯৬৭ সালে ওয়াজেদ মিয়ার জীবনে নবতর অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। এ সময়টি আমাদের জাতীয় জীবনেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সরকারের আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে।
ওয়াজেদ মিয়া মেধাবী ছাত্র হয়েও রাজনীতিসংলগ্ন ছিলেন। তৎকালীন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীই শুধু ছিলেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হলের নির্বাচিত সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।
ওয়াজেদ মিয়ার কর্মজীবন শুরু হয় পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের ঢাকা কেন্দ্রে যোগদানের মাধ্যমে (১ এপ্রিল ১৯৬১)। কমিশনে নিয়োজিত থাকাকালেই তিনি ইতালিতে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুস সালামের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল ফিজিকস থেকে ফেলোশিপ লাভ করেন। ইতালিবাস তাঁর বিজ্ঞানীজীবনের এক অনন্য অর্জন। এর ফলে তিনি বিশ্ববিখ্যাত অনেক বিজ্ঞানীর সঙ্গে গবেষণার ও মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ পান, যা তাঁর বৈজ্ঞানিক চেতনাকে অধিকতর শাণিত ও সমৃদ্ধ করেছে।
গবেষণাবৃত্তি শেষ করে ১৯৬৯ সালে ওয়াজেদ মিয়া দেশে ফিরে তাঁর কর্মস্থল পরমাণু কমিশনে যোগ দেন। স্বাধীনতা-উত্তরকালে আরো বৃহত্তর পরিসরে গবেষণার সুযোগ হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি গবেষণা করেন ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের নতুন দিল্লির গবেষণাগারে। এরই মধ্যে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। পরাজিত শক্তির এ দেশীয় দোসরদের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্ববাসীও স্তব্ধ হয়ে পড়ে। অভিঘাত অবশ্যই ওয়াজেদ মিয়াকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। কিন্তু তিনি কর্তব্য ভোলেননি, দেশে ফিরে আসেন ও কর্মস্থলে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর কর্মজীবন সমাপ্ত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জামাতা কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে তিনি জীবনে কোনো অতিরিক্ত সুযোগ গ্রহণ করেননি।
তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার ইউটোপিকজগতে পরিভ্রমণে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাস্তবতাসচেতন। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্তঃসম্পর্কে তাঁর ছিল গভীর কৌতূহল ও অনুরাগ।
তিনি কখনো রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে চাননি।
রাজনৈতিক ক্ষমতার বৃত্তে তিনি অবস্থান করেছেন ঠিকই, কিন্তু ক্ষমতার উত্তাপ কখনো তাঁকে স্পর্শ করেনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর ছিল ভিন্ন আবেগ, যা একান্তই তাঁর। ১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডি তাঁকে আবিষ্ট ও বেদনাক্ষত করেছে ঠিকই, কিন্তু নিজের কর্তব্য তিনি সঠিকভাবেই পালন করেছেন। সেই চরম দুঃসময়ে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মূর্তিমান সান্ত্বনা ও পরম আশ্রয়।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মেয়েদের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া সহজ নয়। এ জন্য প্রয়োজন হয় পারিবারিক বিশেষ সহযোগিতা। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন উদার ও নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে মানুষের শক্তি ও সামর্থ্যে আস্থাশীল।
ড. ওয়াজেদ মিয়া আমাদের ইতিহাসের অংশ। তাঁর দেশহিতৈষী মানবপ্রেমই তাঁকে স্মরণে রাখবে। তাঁর মতো নির্লোভ, নিভৃতচারী, নিরহংকারী, উদার ও বিজ্ঞানবোধ পরিস্নাত মানুষ দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যাণ আনে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে আরো উদ্যোগী হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- ‘ঈদের আগেই মুক্ত করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে’
- ঈদে স্বপ্ন বাড়ি যায়নি বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদির, ফিরবে লাশ হয়ে
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, অতঃপর...
- ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪-৫ দিনের মধ্যেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- গাজায় মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়াল, ঘণ্টায় ৪ শিশু মৃত্যু
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবো: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ‘নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত’