• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনা বিশ্বকে যে বার্তা দিলেন

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২  

কানেকটিভিটি ও পদ্মা সেতু নিয়ে ২০১২ সালের ১ জুলাই লিখেছিলাম- ‘প্রমত্তা পদ্মায় সড়ক ও রেল সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের কীর্তনখোলা নদী তীরের বিভাগীয় শহর বরিশালে বসবাস করেই প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা শহরে অফিস করার স্বপ্ন পূরণ হবে।’

ঠিক ১০ বছর পর পদ্মা সেতু স্বপ্ন নয়, জ্বলজ্বল করা বাস্তব- বরিশাল থেকেই প্রতিদিন ঢাকায় অফিস। হ্যাঁ, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর- এগুলোও তো ঢাকার কাছের জেলা। রেলপথ খুলে গেলে যশোর, নড়াইল, মাগুড়া, খুলনা থেকেও রাজধানীতে অফিস করা যাবে। এ কালে ১০০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।

খ্যাতিমান মহাকাশ বিজ্ঞানী ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম বলতেন- সেটা স্বপ্ন নয়, যা ঘুমিয়ে দেখ, বরং সেটাই স্বপ্ন যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না। মহাকালের ব্যবধান ঘুচিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী-খুলনা-যশোরকে রাজধানী ঢাকার একেবারে পড়শিতে পরিণত করা পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিলেন- ‘আমার সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবে ফুল ফুটবে। আমার সকল ব্যথা রঙিন হয়ে গোলাপ হয়ে ফুৃটবে।’

অন্যায় করা হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে, পরিবারের সদস্যদের অপবাদ দেওয়া হয়েছে এমনকি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি যন্ত্রণাদগ্ধ হয়েছেন, মাঝমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের গর্বের প্রকল্পের কাজ চালিয়ে গেছেন নিরলস সাধনায়।
২০১২ সালের ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক কেবল বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিল, ‘তাদের কাছে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে পদ্মা বহুমুখী সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র ঘটেছে। বাংলাদেশ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, এসএনসি লাভালিন এবং সরকারের বাইরে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত।’

বিশ্বব্যাংক এখানেই থেমে থাকেনি। ওই সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি এলেন গোল্ডস্টেইন এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে বাংলাদেশকে ঋণ পেতে হলে অনেক ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তিনি এটাও বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নির্ধারিত) কোন পদ্ধতিতে হবে, সে বিষয়েও শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

কী ঔদ্ধত্য! বাংলাদেশের একটি মহল সে সময় বিশ্বব্যাংককে বাহবা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ‘দুর্নীতি ধরে ফেলার জন্য’।

কিন্তু শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। তিনি একদিকে বিশ্বব্যাংকের কাছে দুর্নীতির প্রমাণ চেয়েছেন, পাশাপাশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদককে। তবে বিশ্বব্যাংক তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা বলতে শুরু করল, দুদক হচ্ছে সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতি তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশ্বব্যাংক একটি প্যানেল গঠন করবে। তাদের হাতে বাংলাদেশকে সকল তথ্য দিতে হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পে দুর্নীতিতে যুক্ত হিসেবে যে সকল সরকারি কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের ছুটিতে পাঠাতে হবে।প্রায় পাঁচ দশকের প্রত্যক্ষ সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি যে, বাংলাদেশে একটি ‘বিশেষজ্ঞ-পণ্ডিত মহল’ সক্রিয়-সবাক, যারা মনে করেন- বিশ্বব্যাংক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সমালোচনা করে যা কিছু বলে তা শত ভাগ সত্য, খাঁটি সত্য। স্বাধীনতার পরপর বিশ্বব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা অনেক গবেষণা করে রায় দিলেনÑ বাংলাদেশ একটি বাস্কেট কেস। এ দেশটি উন্নতি করতে পারলে বিশ্বের যে কোনো পিছিয়ে পড়া দেশও উন্নতি করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতা হেনরি কিসিঞ্জারও বলেন, বাংলাদেশ একটি বাস্কেট কেইস। এটি চিরকাল পরনির্ভর হয়ে থাকবে। উন্নত দেশগুলো তাদের ঋণ-অনুদান ও খাদ্য দিলে তারা বাঁচবে, নইলে সব শেষ।

‘বটমলেস বাস্কেট’ তখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হয়ে বাংলাদেশের কিছু লোকের মুখে মুখে ফিরছে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং আরও কয়েকজন অর্থনীতিবিদ সে সময়েই বিশেষ খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছেন। নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে যারা অকারণ বদনাম দিচ্ছিল তাদের ভুল ভাঙানোর কাজ করায় তিনিসহ ‘বিশিষ্টজনদের’ এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি ও গ্রামীণ ব্যাংকের কারণে অধ্যাপক ইউনূস তখন এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী নিতা বিল ও ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনের কাছেও সমাদৃত। বয়স সীমা অতিক্রম করায় গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে বলা হলে তিনি নাখোশ হন, বিষয়টি নিয়ে হাজির হন সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে। তিনি বাংলাদেশেল সর্বোচ্চ আদালতে হেরে গেছেন। এ বিচার চলাকালেই ‘বিচার দিলেন’ ভিন্ন দেশের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে সব গোপন নথি প্রকাশ হয়েছে কিংবা ফাঁস হয়েছে তাতে দেখা যায় ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর হিলারি ক্লিনটনকে তার একজন সহকারী জানাচ্ছেন-‘Yunus said things are worse for him with the govt (Bangladesh).’

কয়েক মাস পর ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি জানিয়েছেন, ‘I am sorry that I did not get a chance to say “Thank You” to Hillary for everything she has done to give me some “space” to continue with my work under adverse environment in Bangladesh.’

গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ অন্য খাতে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনার তদন্তের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এটাকে ‘ব্যক্তিগত সম্পদের মতো’ ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১২ সালের ৪ অগাস্ট হিলারি ক্লিনটনকে জানানো হয়, ‘The government of Bangladesh has taken action against Mohammed Yunus and the Grameen Bank that will affect its independence and more. Harassment has been going on for many months and we and others around the globe have raised concerns, but the GOB appears bound and determined to make changes.’

তত দিনে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ প্রতিশ্রুত ঋণ বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু তিনি তার প্রতিবাদ করছেন না। ২০১৭ সালের ১৯ জুন ঢাকাস্থ ইউনূস সেন্টারের তরফে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ইউনূস কখনোই হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট টেলিফোন করাননি। হিলারি ক্লিনটন ফোন করে থাকলে তিনি নিজে থেকেই করেছেন।’ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনের কাছে কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, ওপরের বার্তাগুলো থেকে সেটা স্পষ্ট।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক একের পর এক যে ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছিল এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদাহানি করে চলছিল সেটা ড. ইউনূসের অজানা ছিল না। তিনি এটাও জানেন যে, বিশ্বব্যাংক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ সংস্থার প্রধান কে হবেন সেটা ঠিক করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিশ্বব্যাংক যে ভুল করছে সেটা স্বীকার করে নেন ড. কৌশিক বসু। তিনি ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মাত্র ১০ বছর আগেও কেউ ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ নিজের অর্থে এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখন বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরতা ছাড়াই তারা এটা করতে পারছে।’ তিনি বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঢাকা এসেছিলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে তিক্ততার পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ আর কম সুদে ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেবে না, এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। কিন্তু ড. কৌশিক বসু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘বিশ্বব্যাংক আগামীতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে।’

দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের. আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার লড়াইয়ের সঙ্গী হতে আমাদেরই কিছু লোক ব্যর্থ হলেন। তারা বাংলাদেশের কথা নয়, বিশ্বাস করলেন বিশ্বব্যাংকের মিথ্যাচার। এমনকি বিশ্বব্যাংক যেন পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করে এবং অন্য খাতেও ঋণ না দেয় সে জন্য দেনদরবার পর্যন্ত করেন। এখনও যে একটি মহল পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে ক্রমাগত বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চলেছে, অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিন্তু নিরব!

২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রচারসংখ্যায় একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকের খবর ছিল এভাবে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক রায়ে লিখেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা জল্পনা, গুজব আর জনশ্রুতি ছাড়া কিছুই নয়।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়া ও চীন ঋণ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের বাজেট বড় হচ্ছিল। রিজার্ভ বাড়ছিল। প্রধানমন্ত্রী সাহস পেলেন নিজেদের অর্থে এত বড় একটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে। অথচ সে সময় ‘খ্যাতিমান’ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ আমাকে একান্তে বলেছেন- ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নামমাত্র সুদে ঋণ মেলে। আর নিজস্ব অর্থে সেতু করা হলে বাজেটে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের মতো অতি প্রয়োজনীয় খাতে অর্থ মিলবে না।’

অথচ বাস্তবতা হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাজ চলাকালেই ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী ব্যাধি কোভিড মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। ১৭ কোটি লোকের দেশে বিনামূল্যে দুই থেকে তিন ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব বলছে, কোভিড মোকাবিলায় সফলতা দেখিয়েছে যে সব দেশ সে তালিকার একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদানে অর্জিত বাংলাদেশ। এ কাজে নেতৃত্বদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ কারণেই জাতিসংঘ মহাসচিব সংকট মোকবিলায় পরামর্শ প্রদানের জন্য গঠিত বিশ্বনেতাদের মধ্যে রেখেছেন তাকে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিংবা যে সব অর্থনীতিবিদ পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বাংলাদেশের পাশে থাকেননি, তাদের কেউই করোনার সময়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সামান্য ধন্যবাদ জানাতেও কার্পণ্য করেন!

পদ্মা সেতুর কাজ চলাকালেই ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা চালিয়ে জাপানি ও ইতালির কয়েকজনকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা ছিল পদ্মা সেতুতে কর্মরত চীনা প্রকৌশলী এবং অন্য কর্মীদের প্রতি নিষ্ঠুর বার্তা- ‘বাঁচতে চাও তো চলে যাও’। যারা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছিল তাদের কাউকেই এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতি ধিক্কার জানাতে দেখা যায়নি। আরও দুর্ভাগ্য, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু অর্থ না জোগানো ভুল হয়েছে- এটা স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু জেনেশুনে এ ভুল যারা সমর্থন করেছে তাদের কাউকেই কিন্তু অনুতাপ করতে দেখা যায়নি। আমরা আশাবাদী এখনও- পদ্মার বুকে সগর্বে দাঁড়ানো সেতুর ওপর দিয়ে যখন মোটর গাড়ি ও রেল গাড়ি ছুটে চলবে, তারা অতীতের কৃতকর্ম ভুলে যাবেন, দাঁড়াবেন বাংলাদেশে পক্ষে। হাততালি দিয়ে বলে উঠবেন, সাবাশ বাংলাদেশ! বিশ্বে শ’ দেড়েক দেশ রয়েছে, যারা স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত। অনেক দেশ বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা আইএমএফ কিংবা উন্নত দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল। চীন, ভারত প্রভৃতি দেশও ঋণ দেয়। কিন্তু ঋণগ্রহিতা কোনো দেশ শেখ হাসিনার মতো সাহস, দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের অপমান তিনি মেনে নেননি। যোগ্য জবাব দিয়েছেন। ধন্যবাদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

লেখকঃ অজয় দাসগুপ্ত,
মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক।
সৌজন্যেঃ bdnews24.com

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –