বিদেশি নাগরিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
জীবন-জীবিকা, জ্ঞানার্জন, দ্বিন প্রচারসহ নানা প্রয়োজনে দেশ-বিদেশে সফর করতে হয়। নিজের জন্মভূমি ছেড়ে ভিনদেশে দিন কাটাতে হয়। সে দেশের মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা প্রবাসজীবনকে নিরাপদ ও সাহসী করে তোলে। এতে একাকিত্বের যাতনা অনেকটা লাঘব হয়। স্বদেশে আগত বিদেশি নাগরিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
মক্কাবাসীদের বিদেশ সফর : মক্কাবাসী কুরাইশরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করত। অবশেষে রাসুল (সা.)-এর প্রপিতামহ হাশেম কুরাইশদের ভিনদেশে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে উৎসাহিত করেন। তখন থেকে তারা গ্রীষ্মকালে সিরিয়া আর শীতকালে ইয়েমেনে বাণিজ্যিক সফর করতে শুরু করে। সিরিয়ায় শীত আর ইয়েমেনে গরম হওয়ায় গ্রীষ্মকালে সিরিয়া আর শীতকালে ইয়েমেন সফর খুব চমৎকার ছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আসক্তি আছে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালে সফরের।’ (সুরা কুরাইশ, আয়াত : ২)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিদেশ সফর : নবুয়তের আগে রাসুল (সা.) নিজেও একবার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে, আরেকবার খাদিজা (রা.)-এর গোলাম মায়সারার সঙ্গে সিরিয়া অভিমুখে বাণিজ্যিক সফরে রওনা দিয়েছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর সফর পুরো হয়নি। বসরা থেকে ফিরে এসেছিলেন। (সিরাতে মুস্তফা, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৮-১০০)
বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর আচরণ : রাসুলুল্লাহ (সা.) অনেক সময় মক্কা ও মদিনায় আগত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যথার্থ আচরণ করেছেন। তাঁর আচরণে মুগ্ধ হয়ে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছে। যেমন—মুনকিজ ইবনে হাব্বান নামের জনৈক ব্যক্তি বাহরাইন থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে মদিনায় আগমন করেছিলেন। একসময় তিনি বাজারে থাকাবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর পাশ দিয়ে যেতে তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মধুর আচরণে আকৃষ্ট হয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি স্বদেশে ফিরে এক পর্যায়ে তাঁদের নেতাসহ একটি দল নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে ইসলাম সম্পর্কে অবগত হন। তাঁরা ছিলেন আবদুল কায়েস গোত্রের। ‘আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদলের আগমন’ শিরোনামে বুখারি ও মুসলিমে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
বিদেশি নাগরিকরা দেশবাসীর অতিথি : অতিথির আপ্যায়ন প্রত্যেক সত্যবাদী একনিষ্ঠ মুসলমানের ঈমানি ও নৈতিক দায়িত্ব। কোরআন-সুন্নাহর নানাভাবে আতিথেয়তার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) সব সময় অতিথিদের সমাদর করতেন। কোনো অতিথি এলে ভালো করে যত্ন নিতেন। সাধ্যমতো আতিথেয়তা করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। আতিথেয়তাকে তিনি ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশে আগত বিদেশি নাগরিকরা পুরো দেশবাসীর জন্য অতিথিস্বরূপ। কাজেই তাদের আতিথেয়তার ব্যাপারে সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অতিথির আপ্যায়ন করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭২; মুসলিম, হাদিস : ১৮৩)
বিদেশি নাগরিকরা দেশবাসীর প্রতিবেশী : প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষায় ইসলামে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সব ধর্মের মানুষ প্রতিবেশীর মধ্যে থাকতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আগতরা দেশবাসীর প্রতিবেশী হিসেবে আরো সম্মানী হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত বেশি তাগিদ দিচ্ছিলেন, যাতে আমার মনে হচ্ছিল যে তাদের আমার উত্তরসূরি বানিয়ে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৪)
নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা : ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের সব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যতম দায়িত্ব। তাদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে এবং তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না, যেন তারা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো! যে ব্যক্তি কোনো মুয়াহিদ (আনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশি) নাগরিকের প্রতি অত্যাচার করে অথবা তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কিংবা সাধ্যাতীত কোনো কাজ চাপিয়ে দেয় বা জোরপূর্বক তার কোনো সম্পদ ছিনিয়ে নেয়, কিয়ামতের দিন আমি তার (অমুসলিম নাগরিকের) পক্ষ অবলম্বন করব।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩০৫৪)
সব মানুষের প্রতি মানবীয় আচরণ : এ ছাড়া সব মানুষের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ ও মানবীয় আচরণ প্রদর্শন ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার অনন্য উপাদান। বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) বলেন, ‘হে লোকসকল! তোমাদের রক্ত, তোমাদের ইজ্জত, তোমাদের সম্পদ পরস্পরের জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম করা হলো। যেমন আজকের এই দিন (আরাফাতের দিন), এই মাস (জিলহজ মাস), তোমাদের এই শহর (মক্কা নগরী) সবার জন্য হারাম।’ অর্থাৎ মাস, দিন, স্থান সবই পবিত্র। এ সময় ও স্থানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা বৈধ নয়। কোনোভাবেই অন্যের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করা যাবে না। অন্যের অধিকার নষ্ট করা যাবে না এবং পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন তাদের বলা হয় যে দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি কোরো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী; কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২)
আর্থিক লেনদেন, ব্যবসা-বণিজ্য ও সেবার আদান-প্রদান সব দেশের ও সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি উদার ও সহনশীল। তাই ইসলাম ও দেশের স্বার্থে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ একান্ত কাম্য।জীবন-জীবিকা, জ্ঞানার্জন, দ্বিন প্রচারসহ নানা প্রয়োজনে দেশ-বিদেশে সফর করতে হয়। নিজের জন্মভূমি ছেড়ে ভিনদেশে দিন কাটাতে হয়। সে দেশের মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা প্রবাসজীবনকে নিরাপদ ও সাহসী করে তোলে। এতে একাকিত্বের যাতনা অনেকটা লাঘব হয়। স্বদেশে আগত বিদেশি নাগরিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
মক্কাবাসীদের বিদেশ সফর : মক্কাবাসী কুরাইশরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করত। অবশেষে রাসুল (সা.)-এর প্রপিতামহ হাশেম কুরাইশদের ভিনদেশে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে উৎসাহিত করেন। তখন থেকে তারা গ্রীষ্মকালে সিরিয়া আর শীতকালে ইয়েমেনে বাণিজ্যিক সফর করতে শুরু করে। সিরিয়ায় শীত আর ইয়েমেনে গরম হওয়ায় গ্রীষ্মকালে সিরিয়া আর শীতকালে ইয়েমেন সফর খুব চমৎকার ছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আসক্তি আছে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালে সফরের।’ (সুরা কুরাইশ, আয়াত : ২)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিদেশ সফর : নবুয়তের আগে রাসুল (সা.) নিজেও একবার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে, আরেকবার খাদিজা (রা.)-এর গোলাম মায়সারার সঙ্গে সিরিয়া অভিমুখে বাণিজ্যিক সফরে রওনা দিয়েছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর সফর পুরো হয়নি। বসরা থেকে ফিরে এসেছিলেন। (সিরাতে মুস্তফা, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৮-১০০)
বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর আচরণ : রাসুলুল্লাহ (সা.) অনেক সময় মক্কা ও মদিনায় আগত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যথার্থ আচরণ করেছেন। তাঁর আচরণে মুগ্ধ হয়ে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছে। যেমন—মুনকিজ ইবনে হাব্বান নামের জনৈক ব্যক্তি বাহরাইন থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে মদিনায় আগমন করেছিলেন। একসময় তিনি বাজারে থাকাবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর পাশ দিয়ে যেতে তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মধুর আচরণে আকৃষ্ট হয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি স্বদেশে ফিরে এক পর্যায়ে তাঁদের নেতাসহ একটি দল নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে ইসলাম সম্পর্কে অবগত হন। তাঁরা ছিলেন আবদুল কায়েস গোত্রের। ‘আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদলের আগমন’ শিরোনামে বুখারি ও মুসলিমে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
বিদেশি নাগরিকরা দেশবাসীর অতিথি : অতিথির আপ্যায়ন প্রত্যেক সত্যবাদী একনিষ্ঠ মুসলমানের ঈমানি ও নৈতিক দায়িত্ব। কোরআন-সুন্নাহর নানাভাবে আতিথেয়তার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) সব সময় অতিথিদের সমাদর করতেন। কোনো অতিথি এলে ভালো করে যত্ন নিতেন। সাধ্যমতো আতিথেয়তা করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। আতিথেয়তাকে তিনি ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশে আগত বিদেশি নাগরিকরা পুরো দেশবাসীর জন্য অতিথিস্বরূপ। কাজেই তাদের আতিথেয়তার ব্যাপারে সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অতিথির আপ্যায়ন করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭২; মুসলিম, হাদিস : ১৮৩)
বিদেশি নাগরিকরা দেশবাসীর প্রতিবেশী : প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষায় ইসলামে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সব ধর্মের মানুষ প্রতিবেশীর মধ্যে থাকতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আগতরা দেশবাসীর প্রতিবেশী হিসেবে আরো সম্মানী হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত বেশি তাগিদ দিচ্ছিলেন, যাতে আমার মনে হচ্ছিল যে তাদের আমার উত্তরসূরি বানিয়ে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৪)
নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা : ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের সব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যতম দায়িত্ব। তাদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে এবং তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না, যেন তারা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মনে রেখো! যে ব্যক্তি কোনো মুয়াহিদ (আনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশি) নাগরিকের প্রতি অত্যাচার করে অথবা তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কিংবা সাধ্যাতীত কোনো কাজ চাপিয়ে দেয় বা জোরপূর্বক তার কোনো সম্পদ ছিনিয়ে নেয়, কিয়ামতের দিন আমি তার (অমুসলিম নাগরিকের) পক্ষ অবলম্বন করব।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩০৫৪)
সব মানুষের প্রতি মানবীয় আচরণ : এ ছাড়া সব মানুষের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ ও মানবীয় আচরণ প্রদর্শন ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার অনন্য উপাদান। বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) বলেন, ‘হে লোকসকল! তোমাদের রক্ত, তোমাদের ইজ্জত, তোমাদের সম্পদ পরস্পরের জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম করা হলো। যেমন আজকের এই দিন (আরাফাতের দিন), এই মাস (জিলহজ মাস), তোমাদের এই শহর (মক্কা নগরী) সবার জন্য হারাম।’ অর্থাৎ মাস, দিন, স্থান সবই পবিত্র। এ সময় ও স্থানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা বৈধ নয়। কোনোভাবেই অন্যের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করা যাবে না। অন্যের অধিকার নষ্ট করা যাবে না এবং পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন তাদের বলা হয় যে দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি কোরো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী; কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২)
আর্থিক লেনদেন, ব্যবসা-বণিজ্য ও সেবার আদান-প্রদান সব দেশের ও সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি উদার ও সহনশীল। তাই ইসলাম ও দেশের স্বার্থে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ একান্ত কাম্য।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- ওকালতি পড়ে কৃষি উদ্যোক্তা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে আরো উদ্যোগী হতে হবে: প্রতিমন্ত্রী শফিকুর
- সংগত কারণ ছাড়া প্রকল্পের ধীরগতি মানা হবে না: রেলমন্ত্রী
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- ‘ঈদের আগেই মুক্ত করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে’
- ঈদে স্বপ্ন বাড়ি যায়নি বেরোবি শিক্ষার্থী আফ্রিদির, ফিরবে লাশ হয়ে
- সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- পুলিশের পা ধরে কাঁদলেন মায়ের ওষুধ কিনতে যাওয়া যুবক, অতঃপর...
- ভারতের নির্বাচনের পর দিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- ৪-৫ দিনের মধ্যেই যানজট থেকে মুক্তি পাবে ঢাকাবাসী
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- গাজায় মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়াল, ঘণ্টায় ৪ শিশু মৃত্যু
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবো: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ‘নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত’