• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পরীক্ষার দিন ডিম খাওয়া নিয়ে যা বলে ইসলাম

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩  

প্রতিদিনের খাবারে ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ডিম নিয়ে কুসংস্কারেরও অভাব নেই। পরীক্ষায় ফেল করা মানে ডিম, আণ্ডা বা গোল্লা পাওয়া। তাই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে অনেকেই ডিমকে এড়িয়ে চলেন।

সমাজে প্রচলিত এই কথাটি কোনো কোনো মানুষকে এতটাই প্রভাবিত করে যে পরীক্ষার দিন তারা তাদের সন্তানকে কোনো অবস্থাতেই ডিম খেতে দেবে না। এখন প্রশ্ন হলো, এ রকম ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করা কি ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ? ডিমের মতো একটি হালাল খাদ্যকে পরীক্ষার দিন খাওয়া অশুভ মনে করার কোনো সুযোগ কি ইসলামে আছে? এর উত্তর হলো, না। ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো জিনিসকে অশুভ লক্ষণ মনে করার সুযোগ নেই।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আফফান (রহ.) থেকে বর্ণিত, সালীম ইবনে হাইয়ান আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, (আল্লাহর হুকুম ছাড়া) রোগের কোনো সংক্রমণ নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোনো অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক। (বুখারি, হাদিস : ৫৭০৭)

মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ মহান আল্লাহর হাতে। কোনো বস্তু বিশেষ মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ করতে পারে না। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ...কোনো কিছুকে অশুভ মনে করাও ঠিক নয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৯১৬)

অতএব পরীক্ষার দিন সকালে ডিম খাওয়াকে অশুভ বলে বিশ্বাস করার সুযোগ নেই। এটা নিছক কুসংস্কার। ইসলামে কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের বিশ্বাস থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –