• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪  

নিজের শেষ কর্মদিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখানকার আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে। কিন্তু আমি সঠিক ছিলাম বলেই শেষদিন পর্যন্ত অফিস করেছি। আমার সময়ে অনেক ভালো ভালো কাজ হওয়া সত্ত্বেও একটি পক্ষ সবসময় সবকিছুর বিরোধিতা করে আসছে। এক সময় সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। ছয় মাস পরই আপনারা বুঝতে পারবেন আমি কেমন ছিলাম।

বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি। নতুন উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ায় এদিন তার শেষ কর্মদিবস ছিল। 

নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত থাকা এই বিদায়ী ভিসি বলেন, প্রথম ভিসি কাদরী (অধ্যাপক ডা. কাদরী) স্যারকে মেডিকেল অফিসাররা বের করে দিয়েছিলেন। এ জায়গা থেকে কেউই শান্তিতে বের হতে পারেননি। সেই কাদরী স্যার থেকে শুরু সর্বশেষ কনক বাবুও (অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক দিয়ে পালিয়েছিলেন। এর আগে কামরুল স্যার (অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান) প্যাথলজি থেকে সোজা বের হয়ে গিয়েছিলেন। আমি কিন্তু শেষ দিনে এসেও অফিস করছি, যা অন্য কোনো ভিসি পারেননি। সুতরাং, আমি কোনো কিছুতেই ভীত নই।

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ক্যাডাভেরিক লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, জোড়া শিশু আলাদা করা- এ রকম অনেক কিছু আমি করেছি। এখানে এসে শুরুতেই আমি জার্নালকে ইনডেক্স করেছি, ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি, পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকের সংখ্যা যেন আরও বাড়ে সে ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু আমি রোবটিক ট্রিটমেন্টটা এখনো আনতে পারিনি। বায়োব্যাংকটাও চেষ্টা করেছি, আনতে পারিনি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় গেটের কাজ শুরু করেছি, আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইন্টারকানেকশন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। গবেষণায় বিএসএমএমইউর বাজেট ছিল ৪ কোটি টাকা, সেটিকে আমি ৩২ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। আমি এখানে অনেক কাজ করেছি, যা গত তিন বছরে কেউ করতে পারেননি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

এদিকে, উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিদায়ের আগ মুহূর্তে এডহকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে তড়িঘড়ি ও সিন্ডিকেট মিটিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –