• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ঠাকুরগাঁও‌য়ে মরিচের বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

 
ঠাকুরগাঁও‌য়ে এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার হাট বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ। মরিচের দাম ভা‌লো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়া রেলস্টেশনসহ প্রতিটি রেললাইন এখন লাল মরিচের সমারোহ। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। 

তাই লাই‌নের শুকনো মাটির উপর পাটির উপরে শুকোতে দেয়া হচ্ছে লাল মরিচ। এ রেল‌গেইট এলাকাতেই প্রতিদিন ক‌য়েক‌টি এলাকার চা‌ষিরা ম‌রিচ শুকা‌তে আ‌সেন । এখান থে‌কে ম‌রিচ পাইকারী দ‌রে  কি‌নে নেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী র‌বিউল ইসলাম ব‌লেন, প্রতি‌দিন এ স্টেশন এলাকা থে‌কে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কেনাবেচা হয়।

সামশুল আলম নামে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে মরিচ বিন্দু ও বাঁশগাড়া জা‌তের ম‌রিচ আবাদ ক‌রেন। 

তি‌নি ব‌লেন, নিড়ানী, সেচ ও পরিচর্যা পর্যন্ত তার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ওই জমিতে মরিচ উৎপাদন হচ্ছে কমপক্ষে ১০ মণ। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যা‌বে। 

একই এলাকার  শফিক আলম ব‌লেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায়  মরিচের ফলন আশানুরূপ হ‌য়ে‌ছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এ রেল গেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের স‌ঙ্গে যুক্ত রয়ে‌ছেন।
 তিনি  বলেন, ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে‌ছি, এতে ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাক‌বে প্রায় ৩ লাখ টাকা। 

ফরিদুল নামে এক কৃষক বলেন, পৌষ মাসে মরিচের চারা রোপণ করার পর থেকে মরিচ উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। বিন্দু, সেকা, মাশকারা, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচ চায় হয় এই এলাকায়। 

পা‌শের এলাকার স্বামীর সঙ্গে মরিচ শুকাতে আসা সামসুন নাহার বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, মরিচের চারা রোপণ, সার-বীজ, রোদে শুকানোসহ সব কাজ নিজেরাই করি, গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভালো মরিচ হয়েছে, এবারে মরিচ নষ্ট হয়নি, মরিচের দামও বেশ ভালো, আমরা সবাই এবার খুশি।

এদিকে, খে‌তে মরিচ সংগ্রহ কাজে শিশু-কিশোর পাশাপাশি পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও এতে যোগ দেন।  প্রতিটি ম‌রি‌চের ঝুড়ি ভ‌র্তি হ‌লে ২৫ থেকে ৩০ টাকা  হিসেবে দিনে আয় করছেন কমপক্ষে ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদফতরের উপপ‌রিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদিত হবে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –