• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

পরীক্ষামূলক ‘নগর পরিবহনে’ খুশি যাত্রীরা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১  

রাজধানীর ঘাটারচর-কাঁচপুর ব্রিজ রুটে চলছে বহুল প্রতীক্ষিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির পরীক্ষামূলক প্রকল্প ঢাকা নগর পরিবহন। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ পরিবহনের যাত্রীরা ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার সরেজমিন এমনটা দেখা গেছে।

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সাড়ে ২৭ কিলোমিটার রুটে ৫০টি বাস নিয়ে এ সার্ভিস চালু হয়।

এতে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার ও ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাস রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ উদ্যোগে মোট ১০০টি বাস যুক্ত হয়ে পুরোদমে এই কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রবিবার মোহাম্মদপুর এলাকায় উদ্বোধনের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা নগর পরিবহনের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। এ সেবা উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কেউ যদি এক স্টেশন থেকে ঠিক পরের স্টেশনেই নামেন তবে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

অতল সরকার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঘাটারচর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। নির্দিষ্ট কাউন্টার ছাড়া যাত্রী ওঠায়নি। সময়োপযোগী একটা বাস সার্ভিস এটি।’

কাঁচপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবের উদ্দেশে ঢাকা নগর পরিবহনে ওঠেন আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ‘টিকিটিং ও কাউন্টার সিস্টেম অনেক ভালো লাগলো। কাউন্টার ছাড়া যাত্রী ওঠানো হয়নি। এভাবে সব বাস চললে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবেই।’

পরিবহনটির একজন হেলপার সামছুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কাউন্টার ছাড়া কোথাও থেকে যাত্রী নিচ্ছি না। টিকিট কেটে কাউন্টারেই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন যাত্রীরা।’

অবশ্য এ রুটে পারমিট ছাড়া কোনও বাস চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও রজনীগন্ধা ও সিটি লিংকের পরিবহন চলতে দেখা গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বাসচালক ও কাউন্টারম্যানদের গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা রোধে করণীয়, ট্রাফিক সাইন, সিগন্যাল ও মার্কিং পরিচিতি এবং সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত আইন, নীতিমালা ও বিধিবিধান সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। 

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে ঢাকার গণপরিবহন চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –