• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলছি: প্রধানমন্ত্রী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে কখনো তেমন পরিস্থিতি হলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা সেভাবেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

সোমবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নবনির্মিত ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমর সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সবক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এই সমুদ্র সীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে সেই সম্পদ অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

সরকার প্রধান বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরো জোরালো হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার শুধু সামরিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বহুমুখী পদক্ষেপ প্রহণ করেছে উল্লেখ করে তাদের জন্য বহুতল ভবন, বিনোদনের সুব্যবস্থা, সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন প্রধনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সামুদ্রিক এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। যদিও জাতিসংঘ এ আইন প্রণয়ন করে ১৯৮২ সালে। জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবিতেও পূর্ব বাংলায় নৌবাহিনীর সদর দফতর প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে এবং এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৯টি প্যাট্রোল ক্রাফট, ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে। সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এই সাবমেরিন ঘাঁটি। আমরা ২০১৭ সালের ১২ মার্চ দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ, আমাদের নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশও গড়ে তুলবো। আমাদের নৌবাহিনীও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলছি।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –