২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা পাবেন বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মী

করোনা মহামারির সময় বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই বা রেইজ) শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত প্রকল্প অবহিতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিপুল সংখ্যক এসব কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুনরায় একত্রীকরণের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এ সহযোগিতার মাধ্যমে বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণ পাওয়ায় সহযোগিতা, দক্ষতা সনদ দেওয়া, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হবে।

এছাড়া রেফারেলের আওতায় কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা পাওয়াতে সহযোগিতা করা হবে যেন তারা সমাজে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ/আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এ লক্ষ্যে রেইজ (আরএআইএসই) প্রকল্প বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রত্যাগত কর্মীদের একটি তথ্য সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি হবে। গত ৪ মাসে ৫৯ হাজার জন কর্মী রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছেন।

রেইজ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৩০ জুলাই, ২০২৩ ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এসব সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেন্টারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইওএম বাংলাদেশ এবং সাব কনসালট্যান্ট হিসেবে আরো সাতটি বেসরকারি সংস্থা সহায়তা করছে।

সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, প্রকল্প পরিচালক সৌমেন্দ্রনাথ সাহাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।