• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাণীশংকৈল শহরে আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪  

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের প্রবেশপথ বন্দর কুলিক নদীর বড় ব্রিজের সামনে, মূল সড়কের দুই ধারে আবর্জনার বিশাল স্তূপ। ময়লা পানিতে ভাসছে পলিথিনসহ নানা ধরনের বর্জ্য। এতে চারদিক ছড়িয়ে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যদিও এই স্থানটি ময়লা ফেলানোর নির্ধারিত কোনো জায়গা নয়, তবুও এখানেই পৌরশহরের সব আবর্জনা নিয়মিত ফেলা হচ্ছে।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা অপরিকল্পিতভাবে রাখা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তি পড়েছে পৌরবাসী। গত দুবছর ধরে এ সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অপরিকল্পিত ও উন্মুক্তভাবে আবর্জনা ফেলায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল ও বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে জানান পথচারী ও স্থানীয়রা।

ট্রাক্টর ও টেংলোড়ির সভাপতি মোকসেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার এসব আবর্জনা এখানে ফেলায় আমাদের প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। দুর্গন্ধে ঠিকমতো কাস্টমার দোকানে আসতে চায় না। কুকুরের উৎপাত ও আগুনের ধোঁয়ায় প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

পৌর শহরের সাবেক কাউন্সিল মো. শেফা ও অমর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ ও কুকুরদের অত্যাচারে স্কুলে ঠিকমতো বাচ্চারা আসতে চায় না। সবমিলিয়ে প্রতিদিন পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় পঞ্চাশ হাজার পথচারীদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, আগুনের ধোঁয়া ও আবর্জানার গন্ধ থেকে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই এই ধরনের রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে এই স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ২০২১ সাল থেকে মেয়েরের দায়িত্ব পেয়েছি, রাণীশংকৈল পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ব্রিজের সামনে দুপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভার জন্য প্রজেক্ট অনুমোদন হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় থকে এ জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না। অধিগ্রহণের অনুমতি পেলেই পৌরসভার সকল ময়লা আবর্জনা ওই ডাম্পিং স্টেশনে স্থানান্তরিত করা হবে। এতে পৌরবাসীকে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা থেকে উত্তরণ করা সম্ভব হবে।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, পৌরশহরের শেষপ্রান্তে বন্দর ব্রিজের সামনে রাস্তার পাশে পৌরশহরের ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়ায়ে পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে, আমি মেয়রের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করব।  (কালবেলা)
 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –